জানুন ভারতের এই আকর্ষণীয় মন্দির সম্পর্কে যেখানে লাড্ডু মিঠাই নয় বরং পুজো করা হয় জলের বোতল দিয়ে
ভারতের এই আকর্ষণীয় মন্দির
ভারত ( India) মন্দির মসজিদ গির্জার দেশ। এ দেশ রয়েছে অসংখ্য ধর্মীয় স্থান। ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মন্দির, যা হিন্দুদের ( Hindu) আরাধ্য স্থান। ভারতে এমন অসংখ্য মন্দির রয়েছে যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। ভক্তরা ভগবানের উদ্দেশ্যে ফল মিষ্টি নিবেদন করে থাকেন। এমনকি কলকাতা ( kolkata) শহরে রয়েছে ‘চাইনিজ কালী মন্দির’, যেখানে দেবীকে নুডুলস, চাউমিন, এই সবই দেওয়া হয়। এই সব নিবেদিত জিনিসগুলি প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের দেওয়া হয়। তবে ভারতে এমনও এক মন্দির রয়েছে যেখানে প্রসাদ হিসাবে ভগবানকে (God) জল নিবেদন করা হয়। আজকের প্রতিবেদন থেকে এই মন্দিরটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এই মন্দির গুজরাটে ( Gujrat) অবস্থিত। তবে এটা কোনো বড় মন্দির নয়। রাস্তার ধারে কয়েকটি ইট দিয়ে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। পাটন থেকে মোধেরা যাওয়ার পথে মন্দিরটি ( Temple)পড়বে। ভক্তদের মানদ পূরণ হলে, ভগবানকে জলের বোতল নিবেদন করে। অন্যান মন্দিরে যেখানে ভগবানের প্রসাদ হিসাবে লাড্ডু, মিষ্টি এই সব নিবেদন করা হয়, সেখানে এই মন্দিরে ভগবানকে দেওয়া হয় জল। মানুষের বিশ্বাস মন্দিরের জল নিবেদন করলে নাকি তাদের মনস্কামনা পূরণ হয়। প্রতিদিন ১২ থেকে ১০০ টি জলের বোতল ও কয়েক হাজার জলের প্যাকেট মন্দিরে দিয়ে যায় ভক্তরা।
তবে এই মন্দির নির্মাণের পিছনে রয়েছে এক রহস্যময় কাহিনী। এই কাহিনী খুবই দুঃখজনক। ২০১৩ সালের ২১ মে এই স্থানে এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। এই স্থানে একটি অটোরিকশা এবং একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জনের মধ্যে ৬ জন মারা যান। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ওই অটোতে ২টি শিশুও ছিল। অটোটি যাত্রী নিয়ে কোনো এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। সেই সময়ই ঘটে এই দুর্ঘটনা। সে সময় ওই দুটি শিশু জল চাইছিলেন, কিন্তু জল না পেয়েই মারা যান। এর পর থেকে এই স্থানে আরো অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে।
অবিরত দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে ওই স্থানের মানুষজন একটা অলৌকিক যোগ খুঁজে পায়। এর পরই মানুষজন মনে করতে লাগে যে, জল না পেয়ে শিশু দুটি মারা যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। এরপরই গ্রামের মানুষ ওই দুটি শিশুকে দেবতা মানতে শুরু করেন এবং ঐ স্থানে কিছু ইট দিয়ে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। প্রতিদিন সেখানে পুজো হয়। জানা যায়, মন্দিরের পাশে একটি কুয়ো আছে, যার জল আগে নোনতা ছিল। তবে এখন সেই জলও নাকি মিষ্টি হয়ে গেছে। বিশেষ বিষয় হলো এরপর থেকে এই স্থানে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর পর থেকেই এই মন্দিরের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়ে যায় এবং প্রসাদ হিসাবে জল নিবেদন করতে থাকেন।