মরুভূমিতে জন্ম, তারপর সপ্তম শতাব্দীতে ভারতে আসা, জানুন বিশ্বে রাজত্ব করা তরমুজের ইতিহাস

এই গ্রীষ্মকালে সবথেকে বেশী আনন্দদায়ক এবং উপকারী একটি ফল হল তরমুজ (Watermelon)। রসালো ও মিষ্টি এই তরমুজ যে কোনো সময়ে আপনাকে এই তাপদাহ থেকে একটি শান্তি দিতে পারবে। গ্রীষ্মকালে এই ফলটির দাম রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু তা সত্বেও বহু মানুষ এই ফলটি কেনেন এবং খান। তবে পছন্দের এই ফলটি আমরা খেলেও এর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছু জানি না। আজকে এই ফল সম্পর্কে অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক যেগুলি এতদিন আমাদের কাছে ছিল অজানা।

এই ফলটিতে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি জল রয়েছে, ঠিক এই কারণেই গরমকালে তরমুজের কোন বিকল্প হয় না। সপ্তম শতাব্দীর দিকে আমাদের ভারতবর্ষে এসেছিল তরমুজ। তরমুজ, যাকে সংস্কৃতে কলিঙ্গম মতো কালিঙ্গম বলা হয়ে থাকে। এই ফলটির বর্ণনা কোন ভারতীয় ধর্মীয় অথবা আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে লেখা নেই। এমনকি আয়ুর্বেদের সুপরিচিত গ্রন্থ চরক সংহিতা- তে আমের কথা উল্লেখ করা থাকলেও তরমুজ সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়নি।

তরমুজ বিশ্বের পুরনো একটি ফলের মধ্যে অন্যতম, তবে এটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে সেই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য কারোর কাছে নেই। বলা হয়, আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগে মিশরীয় সমাধি দেওয়ালে খোদাই-করা চিত্রে দেখতে পাওয়া গেছে তরমুজ। আফ্রিকার উত্তপ্ত মরুভূমি অঞ্চলে নাকি তরমুজ চাষ করা হতো এবং সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, তুরস্ক প্রভৃতি দেশ থেকে ব্যবসায়ীদের হাত ধরে এই ফল এসেছিল ভারতবর্ষে।

এই ফল মূলত উৎপাদিত হয় গ্রীষ্মকালে। তবে মেস্কিকর মত দেশে সারা বছর চাষ করা হয় তরমুজ। এই ফলের একটি প্রজাতি যাকে কালো তরমুজ বলা হয়, সেটি বিশ্বের অন্যতম দামি তরমুজ বলে বর্ণনা করা হয়। প্রতিবছর নিলামে এই কালো তরমুজ বিক্রি করা হয়। এই ফলের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ থাকে যা শরীরে গ্লুকোজের অভাব পূর্ণ করে দেয়। এই ফলে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে।