হাতে নেই কোন কাজ! অভিনয় ছেড়ে অবশেষে চাষবাস করে জীবন কাটাচ্ছেন টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী

হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির একজন নাম করা অভিনেত্রী হলেন রতন রাজপুত (Ratan Rajput)। বিগত এক দশকেরও করে বেশি সময় ধরে তিনি বিভিন্ন জনপ্রিয় সিরিয়ালে লিড হিসেবে কাজ করেছেন। এই হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি তার কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন আগলে জনম মোহে বিটিয়া হি কিজো’ সিরিয়ালের মাধ্যমে। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করে তিনি হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠেন।

Ratan Rajput

রতনের কেরিয়ারের কয়েকটি জনপ্রিয় শো হলো স্বয়ম্বর’, ‘রিস্তো কা মেলা’, ‘মহাভারত’, ‘সন্তোষী মা ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমান সময়ে হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেত্রীকে টিভির পর্দায় আর দেখতে পাওয়া যায় না। বলতে গেলে গত ৪ বছর ধরেই তাকে আর কোনো শো-তে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে যে এই অভিনেত্রী কী তাহলে ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন ? আর তিনি এখন কোথায়ে রয়েছেন ও কি করছেন ? আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রতন রাজপুতের (Ratan Rajput)  বর্তমান পরিস্থিতির বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।

Ratan Rajput

সম্প্রতি একটি সূত্র থেকে জানা গেছে রতন রাজপুত এখন তার গ্রামে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছেন এবং সেখানে তিনি চাষবাসের কাজ করেন। আসলে রতনের এমনটা করার কারণ হলো বিগত ৪ বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। আর তাই অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। রতন তার মানসিক অবসাদে ভোগার কারণ হিসেবে জানান যে ২০১৮ সালে যখন তিনি তার শেষ কাজ অর্থাৎ ‘সন্তোষী মা’ সিরিয়ালের কাজ শেষ করেছিলেন ঠিক তার পরের দিন তার পিতার মৃত্যু ঘটেছিল। আর সেই ধাক্কা সামলাতে পারেননি রতন। সেই সময় জীবনের সব থেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাই ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিরতি নিয়েছিলেন রতন।

ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিরতি নেওয়ার পর থেকেই পুরো চাষবাসে মন দেন রতন রাজপুত। গ্রামে গ্রামে ঘুরে গ্রাম্য মহিলাদের সঙ্গে মিশে নিজে হাতে চাষাবাদ করেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ছবিতে তাকে জলকাদায় নেমে নিজের হাতে শস্যের বীজ বপন করতেও দেখা যায়। অভিনেত্রী জানিয়েছেন মানসিক অবসাদে যখন তিনি ভুগছিলেন তখন কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার তুলনায় নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে শুরু করেন। তার জন্য তিনি সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেই সঙ্গে মাঠেঘাটে নেমে চাষ করতে থাকেন। অবসরে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এভাবেই তিনি মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন।

রতন জানিয়েছেন যে মুম্বাই ছাড়ার পর তিনি একটি গ্রামে গিয়ে ছিলেন। আর সেই গ্রামে গিয়ে চাষ করা ও সেখানকার বাসিন্দাদের মতো কাজ করা তাকে মানসিক অবসাদ থেকে বেরোতে অনেকটা সাহায্য করেছিল। তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে জীবনকে আরও নতুন করে চিনতে শিখেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া রতন তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে গ্রাম্য পরিবেশের অনেক ফটো শেয়ার করে থাকেন।