মহাবিশ্বে নজর রাখা থেকে শুরু করে জ্বলন্ত সূর্যের ভিতরে উঁকি দেওয়া, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার টেলিস্কোপ গ্রুপ তৈরি করছে চীন

মহাকাশে আমেরিকাকে (america) পেছনে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীন (china)। আর সেই কারণে জ্বলন্ত সূর্যের ভিতরে উঁকি দেওয়ার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সোলার টেলিস্কোপ (solar telescope) গ্রুপ প্রস্তুত করেছে। ৩.১৪ কিমি গোলকের আকারে সাজানো হয়েছে এই টেলিস্কোপগুলি। এটি তৈরির জন্য প্রায় ৩১৩ টি ডিসে ব্যবহার করেছে। এর সাহায্যে চীন গোটা মহাবিশ্বে নজর রাখার পাশাপাশি সূর্যের আচরণের পরিবর্তনে পৃথিবীতে কী প্রভাব পড়ে, তা জানতে পারবে।

চীন তাঁদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে ডাওচেং সোলার রেডিও টেলিস্কোপ তৈরি করেছে। এটির প্রস্থ ১৯.৭ ফুট এবং এটি ৩১৪ কিমি জুড়ে বিস্তৃত একটি বৃত্ত তৈরি করে। এই চীনা টেলিস্কোপটি সৌর ঝড় এবং করোনাল ভর নির্গমন পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে যা পৃথিবীতে ইলেকট্রনিক্সকে প্রভাবিত করে এবং মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। করোনাল ভর ইজেকশন বা সিএমই হল সূর্যের পৃষ্ঠের সবচেয়ে হিংসাত্মক বিস্ফোরণ। এতে ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন মাইল বেগে মহাকাশে এক বিলিয়ন টন পর্যন্ত পদার্থ বের হতে পারে।

img 20221208 132727

যদি এই পদার্থগুলি পৃথিবীর দিকে আসে, তবে এটি পাওয়ার গ্রিড, টেলিযোগাযোগ, মহাকাশে প্রদক্ষিণ করা স্যাটেলাইট এবং মহাকাশচারীদের নিরাপত্তাকেও বিপন্ন করে। চীন সম্প্রতি তার মহাকাশ স্টেশনে নতুন ক্রু সদস্যদের পাঠিয়েছে।

img 20221208 132751

এই সৌর টেলিস্কোপ তৈরির সঙ্গে জড়িত চীনা বিজ্ঞানী উ লিন বলেন, ‘আমরা এখন বলতে পারি পৃথিবীর দিকে সৌর ঝড় আসবে কি না। যদি একটি সৌর ঝড় পৃথিবীর কাছে আসে এবং আমাদের কাছে পৌঁছায়, আমরা আগে থেকেই এই ধরনের সৌর ঝড় সম্পর্কে সতর্ক করতে সক্ষম হব। এইভাবে মহাকাশ সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে’।