মাত্র 120 টি গাছ চাষ করে এখন আপনিও হতে পারবেন কোটিপতি, জানুন চাষের পদ্ধতি সহ একাধিক তথ্য
কৃষক কৃষিকাজ ছাড়াও উদ্যান-পালন (gardening) দ্বারাও নিজের আয় বৃদ্ধি করতে পারে। উদ্যান-পালনে (gardening) ফল ও কাঠের চারা লাগানো যেতে পারে। এছাড়া কৃষকরা চারার মাঝে চাষ করেও অতিরিক্ত আয় অর্জন করতে পারবে। এর দ্বারা আমদানিও ২ গুন বৃদ্ধি পাবে। আরেকটি বিষয় জানিয়ে দি যে মহগনি একটি বিশেষ গাছ। আর এই গাছ গুলি কৃষকদের কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। একটি জমিতে ১২০ টি মহগনি গাছ (mahagni tree) লাগানো সম্ভব। এই গাছ লাগালে একজন কৃষক ১২ বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে যেতে পারবে। আজ আমরা এই আর্টিকেলে মহগনি গাছ দ্বারা কি ভাবে দুর্দান্ত আয় (earn money)করা সম্ভব সেই বিষয় আলোচনা করবো।
এই গাছ গুলি শক্তিশালি
মহগনি কাঠ খুব শক্তিশালী হয় ও দীর্ঘস্থায়ীও হয়। এই কাঠে জলের কারণে কোন ক্ষতি হয় না। বিজ্ঞানীদের মতে এই গাছটি ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। বিশেষ বিষয় হল জল না পেলেও এটি বৃদ্ধি পায় আর এর কাঠ অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোয়ার্টেট, ফার্নিচার এবং নৌকা ইত্যাদি।
পাতার প্রয়োগ
এর পাতা ক্যান্সার, রক্তচাপ, হাঁপানি, ঠান্ডা ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়। এই গাছগুলিপাঁচ বছরে একবার বীজ দেয়। একটি গাছ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত বীজ পাওয়া যায়। এর বীজের দামও অনেক বেশি। প্রতি কেজি এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। এটি একটি ঔষধি গাছ। তাই এর বীজ ও ফুলও ওষুধে ব্যবহৃত হয়।
কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতি নয়
ভারতে এখনও পর্যন্ত এই গাছ গুলির কোনো নির্দিষ্ট প্রজাতি পাওয়া যায়নি। এর জাতের মাত্র ৫টি বিদেশী জাতের ফলন উৎপাদপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিউবান, মেক্সিকান, আফ্রিকান, নিউজিল্যান্ড এবং হন্ডুরান জাত। এই সব ধরনের গাছ গুলি গুণাগুণ এবং ফলনের ভিত্তিতে উৎপাদন করানো হয়। এই গাছগুলির উচ্চতা ৫০ থেকে ২০০ ফুট পর্যন্ত হয়।
এর গাছগুলি কোথায় কিনতে পাওয়া যায়
মহগনি চাষের জন্য আপনি যেকোনো নিবন্ধিত সরকারি কোম্পানি থেকে এর গাছপালা কিনতে পারেন। এছাড়া এর চারা নার্সারিতেও পাওয়া যাবে। নার্সারিতে গাছপালা প্রস্তুত করতে অনেক সময় ও পরিশ্রম লাগে। তাই এর গাছপালা কেনা এবং রোপণ করা খুবই সহজ। নার্সারী থেকে চারা কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের বয়স দুই থেকে তিন বছর হয় এবং ভালোভাবে যাতে বিকশিত হয় যেন।
৬ বছরের সময় কাল
মহগনি গাছ (mahagni tree) ৬ বছরে পূর্ণাঙ্গ গাছে পরিণত হয়ে যায়। এই সময় কৃষকরা গাছ-গাছালির মাঝে ফাঁকা জমিতে ডাল ইত্যাদি লাগিয়ে ভালো আয় করতে পারে। এক একরে প্রায় ১২ বছর অপেক্ষার পর মহগনি গাছ দ্বারা কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এই গাছের কাঠের দাম প্রতি ঘনফুট দুই হাজার টাকা। এর বীজ ও পাতাও ভালো দামে বিক্রি হয়। এর গাছ লাগিয়ে কৃষকরা ভালো আয় করতে পারে। যাদের জমি আছে তারা এই গাছ চাষ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এটি খুবই উপকারী একটি গাছ।