ভারতে ফ্লপ, অথচ চীনে সুপার ডুপার হিট! দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তদন্তের দাবি
আমির খানের যেই ফিল্ম গুলি ভারতে ফ্লপ প্রমাণিত হয় বা বেশি কালেকশন করতে পারে সেই ফিল্ম গুলি চায়নাতে ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয় কিভাবে? উঠলো প্রশ্ন!
বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (bollywood film industry) মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট নামে পরিচিত আমির খান (Aamir Khan) একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। ইনি ১৯৮৮ সালে ফিল্ম ‘কায়ামাত সে কায়ামাত ‘ দ্বারা নিজের ডেবিউ ফিল্ম করেছিলেন। তবে ছোটবেলা ইনি ধর্মেন্দ্র অভিনীত ফিল্ম ‘ইয়াদো কি বরাত’ ফিল্মের চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (Bollywood film industry) কাজ করেছিলেন। আমির খান (Aamir Khan) ১৯৮৮ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বলিউডে রাজত্ব করেছেন। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে আমির তার ফিল্ম ‘লাল সিং চাড্ডা’-এর প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
কিন্তু গতকাল অর্থাৎ ১১ই আগস্ট এই ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে। ইউ ফিল্মটিকে ভারতের লোকেরা বয়কট করা শুরু করেছিল প্রোমোশনের সময় থেকেই। আর যেইভাবে জনগণ জেদ ধরে বসে ছিলেন তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে ফিল্মটি বক্স অফিসে ফ্লপ প্রমাণিত হতে চলেছে। তবে লাল সিং চাড্ডার বয়কট অভিযানের সাফল্যের পর, এখন আমির খানের চীন সংযোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাই আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে বলিউডে স্ক্যাম ও আমির খানের চাইনিজ স্ক্যামের বিষয় জানবো যে এর সাহায্যে কিভাবে লাল সিং চাড্ডা বইটিকে কিভাবে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর অসফল চেষ্টা করা হচ্ছে।
লাল সিং চাড্ডা ফিল্মটি মুক্তি পাওয়ার পর যেরকম দশা দেখা দিচ্ছে মনে হচ্ছে না যে ফিল্মটি মেকিংয়ের খরচ পর্যন্ত তুলতে পারবে। এই ফিল্মের প্রথমদিনের আয় ছিল মাত্র ১০/১২ কোটি টাকা। বিশ্লেষক ও সেলিব্রিটিদের দ্বারা এতো প্রচার করার পরও ফিল্মটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর একটা কথা পরিষ্কার বোঝা গেল যে বয়কট বিষয়টিকে কখনো হালকাতে নেওয়া উচিত না।
তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা অত্যন্ত পরিমানে আশাবাদী এবং তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ফিল্মের কোনো ক্ষতি হবে না আর ফিল্মটি হিট প্রমাণিত হবে ও ভালো কালেকশন করবে বক্স অফিসে। আর এই সব লোকেদের আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হয় যেন কালেকশন তাদের বাপের সম্পত্তি। অবশ্য বাপের সম্পত্তি বলা যেতেই পারে কারণ তাদের বাপ সত্যি চিনে বসে রয়েছে। যদি ১০০ কোটি টাকার স্ক্যাম চলে তবে একটি চীনা স্ক্যাম মডেলও রয়েছে যার সাহায্যে ফালতুর থেকে ফালতু ফিল্মকে সুপারহিট ও ব্লকবাস্টার বানিয়ে তোলা হয়।
এখন নিশ্চই আপনি ভাবছেন যে আমরা এসব কি বলছি ? কিন্তু জানিয়ে দি বিষয়টি অনেক গম্ভীর ও এর তদন্ত ও সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বেশি টাকা কামানো ফিল্ম দঙ্গল যার মোট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কালেকশন ছিল ২১০০ কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে একটি ঝোল রয়েছে। যখন দঙ্গলের টিম দেখলো যে বাহুবলি টিমের কালেকশন ১৯০০ কোটি টাকাতে পৌঁছে গেছে তখন তারা ভাবলো যে একটি আঞ্চলিক টিম কিভাবে আমাদের থেকে এতো সহজে এগিয়ে যেতে পারে। তাই ৭০ কোটির বাজেটে তৈরি দঙ্গল ফিল্মটিকে চিনে মুক্তি দেওয়া হলো আর তারপর যেই ফিল্মটি ভারতে কোনোরকমে ৬৭০ কোটি টাকা কামিয়ে ছিল সেই ফিল্ম চিনে ১৪০০ কোটি টাকা আয় করে নিল।
শুধু তাই নয় দঙ্গলের পর যখন আমির খানের সিকরেট সুপারস্টার নামক ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছিল, এই ফিল্মটিও ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছিল। এই ফিল্মটি বক্স অফিসে ৯০০ কোটি টাকার বেশি উপার্জন করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেই ফিল্মটি ভারতে মাত্র ৬০ কোটি টাকা আয় করেছিল তার মোট ওয়ার্ল্ড কালেকশন ৯০০ কোটি টাকা হলো কিভাবে? উত্তর একটাই চীনের বক্স অফিস। যেখানে কেউ জানতে পারে না যে কটা টিকিট বিক্রি হলো, কারা অডিএন্স ছিল, কারা ফিল্মটি দেখলো এবং আয় হলো কিভাবে।
এই প্রেক্ষাপটে এখন চীনা বক্স অফিস কালেকশনে আমির খানের চলচ্চিত্রের আয়ের বিষয়ে ইডি তদন্তের দাবি উঠেছে। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের মতে, “আমির খানের সিক্রেট সুপারস্টার ভারতে ৬০ কোটি আয় করেছিল কিন্তু চীনে ৯০০ কোটি টাকা আয় করলো। আর অন্যদিকে বাহুবলির মতো ফিল্ম ভারতে ১৬০০ কোটি আয় করলো কিন্তু চীনে মাত্র ৮০ কোটি আয় করেছিল৷ এনআইএ এবং ইডি-র উচিত আমির খানের অর্থ পাচারের তদন্ত করা।
आमिर खान की फ़िल्म सीकरेट सुपर स्टार भारत में 60 करोड़ कमाती है लेकिन चीन में 900 करोड़ कमाती है,जबकि उसी समय बाहुबली फ़िल्म भारत में 1600 करोड़ कमाती है लेकिन चीन में मात्र 80 करोड़ @NIA_India @dir_ed को आमिर खान के मनी लाउनडरिंग की जॉंच करनी चाहिए @IncomeTaxIndia
— Dr Nishikant Dubey (@nishikant_dubey) August 12, 2022
এমন পরিস্থিতিতে এটা বলা ভুল হবে না যে আমির খান তার ফিল্ম ‘লাল সিং চাড্ডা’-এর মাধ্যমে বিপদকে আমন্ত্রন জানিয়েছে। ফিল্ম তো বক্স অফিসে চললো না উল্টে আমির খান কুকাজ সব ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এবার আমির খান ও তার কেরিয়ারের দশা কি হবে তা শুধু ভগবান জানে।