দিনমুজুরের মেয়ের আশ্চর্যজনক ফলাফল, ইউটিউব দেখে পাশ করল দেশের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা

সফলতা পেতে গেলে ধনী বা দরিদ্র হওয়ার প্রয়োজন হয় না। কোন কিছু করার জন্য দৃড় প্রকল্প থাকা প্রথম প্রয়োজন। এর পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা থাকতেই হবে। তাহলেই সেই ব্যক্তি সেই অবস্থান অবশ্যই অর্জন করবো। আজ এমন এক উদাহরণের কথা আপনাদের বলবো, যা শুনলে আপনি নিজেও অনুপ্রাণিত হবেন। কোন কিছু সুযোগ সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে একজন দরিদ্র শ্রমিকের মেয়ে GATE (ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক যোগ্যতা পরীক্ষা) পাশ করলো, তাই আজ আপনাদের জানাবো।

দেশের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষা হলো GATE. অনেক পরীক্ষার্থী প্রতি বছর এই পরীক্ষা দিয়েও ক্রেক করতে পারেনা। সেখানে রেওয়া জেলার একটি ছোট গ্রাম লরি গড়তে বসবাসকারী একটি মেয়ে পরীক্ষা পাশ করে দেখালেন। পরিবারে অভাবের টানে তাঁর কাছে না ছিল ভালো বই, না ছিল ভালো টিউটর। তাঁর বাবা একজন শ্রমিক। তার উপর ৪ জন ভাইবোন। তবে ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব। সেটাই করে দেখালেন মেয়েটি।

মেয়েটির নাম হলো রামকালী কুশওয়াহা। তাঁরা গোটা পরিবার মাটির বাড়িতেই থাকে। বাবা মা দুজনেই কাজ করেন। দুজনেই শ্রমিক। পরিবারে আর্থিক অনটন সারা বছরই লেগে থাকে। রামকালী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরই পদার্থ বিজ্ঞানের উপর টান বাড়ে। এর মধ্যে কোভিড পরিস্হিতির কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। তখন তিনি বাড়িতেই প্রস্তুতি শুরু করে। ইউটিউব সাধ দেয় তাঁর। অতঃপর সে পরীক্ষা দেয় এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩২৯০ সর্বভারতীয় রেঙ্ক এর মধ্যে ৪৩৫ তম স্থান অর্জন করে।

 

রামকালী মিডিয়ার সামনে বলেছেন, তিনি তাঁর মা বাবার সঙ্গে মাটির বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করেছেন। ‘ আমার বাবা মা গরীব হলেও আমাদের জন্যে সবসময পরিশ্রম করেছেন। আমার পাশে থেকেছে আমাদের স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সমীর ভার্মা।’ তাঁকে তাঁর রাজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।