ভারতেএ এই অদ্ভুত মসজিদ, যেখানে ঘটে এমন রহস্যময় ঘটনা
ভারতেএ এই অদ্ভুত মসজিদ,

ইতিহাসেকে সাক্ষী রেখে ভারতের বুকে টিকে রয়েছে অসংখ্য মন্দির, মসজিদ, গির্জা, কেল্লা, বাড়ি এমনকি মিনার। আজকের বিষয় ভারতে অবস্থিত একটি মিনার (Minar) নিয়ে। দিল্লির কুতুব মিনার কিংবা কলকাতার শহীদ মিনারের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। মায়ারগুলি দুর্দান্ত স্থাপত্য ও কার্যকারিতার সাক্ষ্য বহন করে। তবে ভারতে অসংখ্য এমন মিনার রয়েছে যাদের নাম হয়তো কখনো শোনেননি। আজ আপনাদের এমন একটি মিনার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা বাস্তু ও বিজ্ঞানের সেরা উদাহরণ বলা যেতে পারে। চলুন প্রতিবেদন থেকে মিনারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
আজ জানবেন গুজরাটের আহমেদাবাদে (Ahmedabad) অবস্থিত ঝুলতা মিনার (Jhulta Minar) সম্পর্কে। এটি সিদি বশির মসজিদ (Sidi Bashir Mosque) নামে পরিচিত। তবে ঝুলতা মিনার হিসাবেই এটি অধিক পরিচিত। এই মসজিদ ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে। ১৪৫২ খ্রিস্টাব্দে সুলতান আহমেদ শাহের দাস সিদি বশি মসজিদটি নির্মাণ করেন। আহমেদাবাদে অবস্থিত এটিই সবচেয়ে উঁচু মিনার। বর্তমানে এই মসজিদে দুটি মিনার ও খিলান অবশিষ্ট রয়েছে। বেশ পুরানো হওয়ার কারণে এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। তবে অনুসন্ধানের কারণে শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের জন্য এটি খোলা থাকে।
তবে এই মিনারের নাম কেন ঝুলতা মিনার হলো? তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। তাহলে বলি এই মিনারের এক বিশেষ বিশেষত্ব রয়েছে। আপনি গেলে দেখতে পাবেন, মসজিদের সামনে মিনার দুটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই মিনারগুলি তিন তলা বিশিষ্ট। মিনারে সিঁড়ি রয়েছে। যা দিয়ে আপনি মিনারের উপরে যেতে পারবেন। বিশেষ বিষয় হলো, আপনি যদি সিঁড়ি দিয়ে মিনারের ভিতর যান এবং মিনারটি নাড়া দেন। তবে পাশের মিনারটিতেও কম্পন অনুভূত হবে। তবে এই দুটি মিনার সংযোগকারী খিলানে কিন্তু কোনো কম্পন হয় না। বিষয়টি সকলকে অবাক করে। আজও এটা রহস্যই থেকে গেছে।
এই বিস্ময়কর এবং রহস্যময় টাওয়ার (Amazing And Mysterious Minar), পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। প্রতিদিন ভোর ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই মসজিদ খোলা পাবেন। এই সময়ের মধ্যে যে কেউ এখানে ঘুরে আসতে পারেন। তবে এখানে প্রবেশ করার জন্য কোনো এন্ট্রি ফি (Entry Free) দিতে হবে না। অর্থাৎ বিনামূল্যে আপনি এই মিনার পরিদর্শন করতে পারেন। আহমেদাবাদ থেকে অটো বা ট্যাক্সি নিয়ে এই স্থানে পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া রেল পথেও এই স্থানে পৌঁছাতে পারেন। এর জন্য ট্রেনে করে আপনাকে কালুপুর স্টেশনে নামতে হবে। এছাড়া আহমেদাবাদের সঙ্গে এই স্থান সড়ক পথ দ্বারাও সংযুক্ত রয়েছে।