না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘মিশন মঙ্গল’ খ্যাত অভিনেতা বিক্রম গোখলে

গতকাল ফিল্ম, টেলিভিশন ও থিয়েটারের প্রবীণ নেতা বিক্রম গোখলে (Vikram Gokhale) গতকাল অর্থাৎ ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২২-এ ৮২ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন। তিনি পুনের একটি হাসপাতালে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার শরীর অতিরিক্ত খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ও গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতের দিকে তার মৃত্যু ঘটে এবং তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। ডাক্তাররা জানিয়েছেন কিছুদিন আগে বিক্রম গোখলেকে (Vikram Gokhale) দিনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল।

জানিয়ে বিক্রম গোখলে অভিনয় জগতের একজন ট্যালেন্টেড অভিনেতা ছিলেন। তিনি হিন্দি ছাড়া মারাঠি ফিল্মেও কাজ করেছিলেন। তার অভিনীত ফিল্ম গুলির মধ্যে ১৯৯০ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘অগ্নিপথ’ ও ১৯৯৯ সালে সালমান খান ও ঐশ্বর্য অভিনীত ফিল্ম ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’-এর মতো ফিল্ম রয়েছে। বিক্রম গোখলে প্রথম অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন ২৬ বছর বয়সে। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে তিনি নিজের কেরিয়ারের আরম্ভ করেছিলেন। তার কেরিয়ারের প্রথম ফিল্ম অমিতাভ বচ্চনে সাথে ছিল এবং ফিল্মের নাম ছিল ‘পারওয়ান’।

বিক্রম গোখলে ২০১৩ সালে মারাঠি ফিল্ম ‘অনুমতি’-তে অভিনয় করার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া জানিয়ে দি বিক্রম গোখলে কিন্তু অভিনেতা চন্দ্রকান্ত গোখলের পুত্র ছিলেন। জানিয়ে দি যে বিক্রম গোখলে ২০১১ সালে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন। আর ২০১০ সালে ফিল্ম ‘আঘাত’-এর মাধ্যমে তিনি ফিল্ম ডায়রেক্টিংয়ের পথে প্রথম পা রেখেছিলেন।

বিক্রম গোখলের প্রপিতামহী দুর্গাবাই কামাত ছিলেন ভারতীয় পর্দার প্রথম মহিলা অভিনেত্রী। আর তাঁর ঠাকুমা কমলাবাই গোখলে ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা কথাশিল্পী। বিক্রম গোখলে ১৯৮৫ সালে দূরদর্শনের একটি ধারাবাহিকে নাটক নাটখত নারদ-এ মহাবিষ্ণু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই চরিত্রটি আজ সকলের মনে রয়ে গেছে। ২০১৬ সালে গলার অসুস্থতার জন্য বিক্রম থিয়েটার থেকে রিটায়ারমেন্ট নিয়ে নিয়েছিলেন। যদিও ফিল্মে তিনি তার কাজকে চালু রেখেছিলেন।