মাছ না এলিয়েন চেনা দায়!সমুদ্রের তলদেশে মিলল অদ্ভুত প্রাণীদের গুপ্তধন, ছবি দেখে চমকে যাবেন আপনিও
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে ২৫০০ কিমি দূরে একটি সামুদ্রিক পার্ক (Marine park) রয়েছে। এই পার্ক গুলিতে গবেষণা করার পর গবেষকরা অদ্ভুদ সামুদ্রিক জীবের (Marine animals) সন্ধান পেয়েছে। এই জীব গুলিকে খুঁজে পাওয়া গবেষকদের জন্য স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাওয়ার মতো বিষয় ছিল। ৩০ শে সেপ্টেম্বর ২০২২-এ এই সামুদ্রিক খোঁজ (sea quest) অভিযানটি শেষ হয়ে গেছিল। মিউজিয়াম ভিক্টরিয়াতে সামুদ্রিক অমেরুদন্ডী জীব (Marine spineless animals) গুলির সিনিয়র কিউরেটর টিম ওহারা জানিয়েছে যে এই এলাকাটি ডায়নোসর যুগের সময়কার বড় আকারে তৈরি সামুদ্রিক পর্বত দ্বারা ঘেরা রয়েছে।
এই জায়গাটি প্রশান্ত ও হিন্দ মহাসাগরে মাঝে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্থানে রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছে যে তারা এই নতুন প্রাণীর খোঁজ নিয়ে উৎসাহিত রয়েছেন যা এই এলাকায় ঢেউয়ের নিচে লুকিয়ে রয়েছে। নতুন সামুদ্রিক পার্কের (Marine park)এরিয়া ‘কোকোজ কলিং’ (Cocos calling) ও ক্রিসমাস আইল্যান্ড (Christmas Islands ) সমূহের আশেপাশে ৭,৪০,০০০ বর্গ কিমি সমুদ্রের রক্ষা করবে। এসব এলাকায় যাওয়ার পথে গবেষকরা খুব অবাক করা মাছ ও প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকরা পাখনাওয়ালা মাছের সন্ধান পেয়েছে যেগুলো বাতাসে সাঁতার কাটার চেষ্টা করেছিল। ভ্রমণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ফিস বায়োলজিস্ট জীববিজ্ঞানী ই-কাই-টি বলেছিলেন যে এই প্রাণীগুলির সামুদ্রিক পাখিদের থেকেবিপদ রয়েছে।
গবেষকরা ৩৫ দিন ধরে ১৩০০০ কিমি-এর অনুসন্ধান যাত্রা করেছিল। সেই সময় সোনার ব্যবহার করে তারা সমুদ্র তলের ম্যাপিং করেছিল। যার মধ্যে তারা প্রাচীন সামুদ্রিক পাহাড়,আগ্নেয়গিরি, উপত্যকা এবং শৈলশিরাগুলিও পাওয়া গেছে। এই বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি ১৪ থেকে ০.৫ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল। সোনার থেকে জানতে পারা গেছে যে কোকোস কলিং আইল্যান্ড আসলে একটি বিশাল সামুদ্রিক পাহাড়ের দুটি চূড়া যা সমুদ্রতল থেকে ৫০০০ মিটার দূরে রয়েছে। গবেষকরা জলে ডুবে থাকা তৃতীয় চূড়াও খুঁজে পেয়েছে যা সমুদ্রতল থেকে ৩৫০ মিটার নিচে অবস্থিত।
Been photographing flying fishes all day every day. I think we’re up to 6 species now, but I’ll need to check. What a stunning group of fishes these are! #RVInvestigator #InvestigatingtheIOT @CSIRO @austmus @museumsvictoria @BushBlitz2 @ParksAustralia pic.twitter.com/H0UWi5zNt2
— KaiTheFishGuy (@FishGuyKai) October 5, 2022
ক্রুরা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০০ মিটার গভীরে ছোট জাল ফেলেছিল যেখানে তারা বলেছিল যে তারা প্রজাতির বিশাল সম্পত্তি খুঁজে পাবে। ও’হারা বিশ্বাস করেন যে এই প্রজাতির এক তৃতীয়াংশ বিজ্ঞানের জন্য নতুন হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে একটি নতুন ধরনের ব্লাইন্ড কাস্ক ঈল (Blind Cusk Eel) যার চামড়া আলগা, আঠালো এবং ছিদ্রযুক্ত। এমভির সিনিয়র কালেকশন ম্যানেজার ডায়ান ব্রে (Dianne Bray) জানিয়েছেন যে এই মাছগুলোর চোখ খুবই ছোট। আপনি যদি ছবিটি মনোযোগ সহকারে দেখেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে চোখগুলি ত্বকে ছোট সোনার গর্তের মতো। তাদের ত্বক খুব আলগা, ফ্ল্যাকি এবং আঠালো এবং দুর্লভ। তারা গভীর-সমুদ্রের ব্যাটফিশও খুঁজে পেয়েছেন যা দেখতে রাভিওলির মতো এবং খুব সুন্দর। এই অদ্ভুত প্রাণীটির পিছনের ডানাগুলি দেখতে বড় পায়ের মতো যার সাহায্যে এটি সমুদ্রের তলদেশে সাঁতার কাটে।
Introducing one of the most fascinating #fish that we've found in our #deepsea surveys of the waters near Christmas and Cocos (Keeling) Islands …
It's the #tripodfish, or tripod spiderfish!! 🐟🔭🕷️
Image: Ocean Exploration Trust/WoRMS via @FishesAustralia. #InvestigatingTheIOT pic.twitter.com/i7ZLywAXNM
— Bush Blitz (@BushBlitz2) October 18, 2022
একটি মাছ ছিল যার পাখনা ছিল লম্বা এবং স্থির। যা মাটিতে নোঙর করে ছিল। এটির মাধ্যমে এই মাছ সহজেই সমুদ্রপৃষ্ঠের ঠিক উপরে ঘোরাফেরা করতে পারে এবং নীচের যে কোনও শিকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। দেখতে অনেকটা ট্রাইপডের মতো হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ট্রাইপড ফিশ (tripod fish)। এছাড়া গবেষকরা গভীর সমুদ্রে হার্মিট কাঁকড়াও খুঁজে পেয়েছিল যেটি খোসা হিসেবে নরম প্রবাল ব্যবহার করে। এছাড়াও এই এলাকা থেকে অনেক সামুদ্রিক শসা (Sea cucumbers), সামুদ্রিক তারা (Sea star) এবং সামুদ্রিক শামুকও (Sea snail) পাওয়া গেছে। জাহাজটি ফিরে আসার পরে এই নমুনাযুক্ত জীবগুলি অধ্যয়ন করা হবে এবং তাদের বিভিন্ন প্রাণীর দলে স্থান দেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রজাতি সনাক্ত করা হবে।
A Host of Bizarre Creatures Has Been Found At The Bottom of The Ocean https://t.co/oT6RYiKOSU
— ScienceAlert (@ScienceAlert) November 3, 2022