খুব শীঘ্রই ভারতে শেষ হতে চলেছে Wifi-Sim এর ঝামেলা, ভারত সরকার খুব শীঘ্রই লঞ্চ করবে Satellite Internet
দেশে উপগ্রহ স্যাটেলাইট যোগাযোগ সেবার (Satellite communication service) প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে ও খুব শীঘ্রই এটি আরম্ভ হয়ে যেতে পারে। টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে আগামী 7 থেকে ৮ মাসের মধ্যে স্যাটেলাইট যোগাযোগ সেবার (Satellite communication service) আরম্ভ হতে পারে। এই সেবা আরম্ভ হলে সবচেয়ে বড় লাভ এটা হবে যে বড় বড় শহরের মতো দূরবর্তী ছোট গ্রামগুলিতেও গুনমানসম্মত ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে।
এছাড়া এই সেবা চালু হলে আরেকটি লাভ এটা হবে যে ইন্টারনেটের (Internet)জন্য দূরবর্তী কোম্পানিগুলির উপর মানুষকে আর নির্ভর হয়ে থাকতে হৰে না। এবার থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডিরেক্ট ইন্টারনেটের (Internet)সুবিধা পেতে পারবে মানুষ। আর এই সেবার দ্বারা ডিজিটাল ভারতের কার্যক্রমকে সফল করতে অনেক সাহায্য পাওয়া যাবে। কারণ টেলিকম কোম্পানি গুলির থেকে প্রাপ্ত ইন্টারনেট সেবায় স্পিড থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক ড্রপ হওয়া ইত্যাদি অনেক রকম সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তবে জানিয়ে দি এখন প্রতিরক্ষা এবং ফ্রন্টলাইন এলাকায় স্যাটেলাইট যোগাযোগ সেবার ব্যবহার হয়।
স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সার্ভিস চালু হলে বড় ব্যবসার সুযোগও খুলে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইওয়াইই-এর রিপোর্ট অনুজয়ী ভারতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবার ব্যবসা ২০২৫ সালের মধ্যে ১৩ বিলিয়ন ডলার মতো হয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্কও স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবার জন্য আবেদন করেছে। মন্ত্রণালয় অনুযায়ী জানা গেছে যে পাঁচটি টেলিকম কোম্পানিকে টেলিকম সেবার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। স্টারলিংক হল মাস্ক-প্রোমোটেড স্পেসএক্স-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান
ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি রাজ্যমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন যে স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবা এক ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আর ২০২৫-২৬ সাল নাগাদ ১.২. বিলিয়ন ভারতীয় তাদের হ্যান্ডসেট থেকে সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হবে। এর নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি জানান যে নাগাল্যান্ডের একটি জেলা এমন ও রয়েছে যেখানে সেখানের অফিসার পদে কাজ করা ব্যক্তির কাছে পর্যন্ত ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। স্যাটেলাইট যোগাযোগ পরিষেবা এই ধরনের জায়গাগুলির জন্য একটি বড় উপহার প্রমাণিত হতে পারে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় VSAT (ভেরি স্মল অ্যাপারচার টার্মিনাল) স্যাটেলাইট প্রযুক্তির প্রচারের জন্যও অনেক ধরনের পরিবর্তন করেছে। VSAT স্যাটেলাইট প্রযুক্তি খনি থেকে সমুদ্র, এটিএম, হাসপাতাল, ব্যাঙ্কের মতো অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে। V-SAT একটি বৃত্তাকার অ্যান্টেনা নিয়ে গঠিত যা ডেটা গ্রহণ এবং বহিষ্করণ করার কাজ করে। সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন এই অ্যান্টেনা যেকোনো জায়গায় নেওয়া যাবে। কিন্তু আগে এটিকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হতো। এখন অ্যান্টেনার সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াও সহজ করে দেওয়া হয়েছে।