এই শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা রাতারাতি হয়েছেন কোটিপতি, মাত্র ২৫ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি টাকা! রিটার্ন মিলেছে ৪০,০০০%
কিছু বছর পূর্বে পেনি স্টক হিসাবে কারবার করা IKAB সিকিউরিটিজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের ভ্যালু ১০০০ টাকার থেকে উপরে চলে গেছে। এটি শেয়ার বাজারের সেইসব কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত যেগুলি কয়েক হাজার টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে গত ২ দশকে নিজের বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। আর শুধু তাই নয় গত ১ বছরে এই কোম্পানি নিজের বিনিয়োগকারীদের মূলধন প্রায় ১৮ গুন বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।
IKAB সিকিউরিটিজ-এর শেয়ার গত বুধবার অর্থাৎ ১৯ শে অক্টোবর বিএসই-তে ১.৩৬ শতাংশ ১০৪৮.৯৫ টাকার ভ্যালুতে বন্ধ হয়েছে। যদিও ২৩শে এপ্রিল ২০০৪ সালে যখন প্রথমবার বিএসই-তে যখন IKAB সিকিউরিটিজের শেয়ারে ব্যবসা শুরু হয়েছিল তখন এর প্রভাবী মূল্য ছিল ২.৬০ টাকা ছিল। এইভাবেই গত 18 বছর ধরে এই শেয়ারের ভ্যালুতে ৪০২৪৪.২৩-এর বাম্পার বৃদ্ধি হয়েছে।
এর অর্থ হলো যদি কোনো বিনিয়োগকারী ২৩ এপ্রিল ২০০৪ সালে এর শেয়ারে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকতো ও সেই টাকা তুলে না নিয়ে থাকে তবে আজ তার সেই ১ লাখ টাকার ভ্যালু বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা হয়ে যেত। আর যদি কোনো বিনিয়োগকারী মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতো তবে সেই টাকার ভ্যালু আজ ১ কোটি টাকা হতো।
Ikab সিকিউরিটিজের শেয়ারের সম্প্রতির প্রদর্শনের কথা বলা হলে গত ১ মাসে এর শেয়ারের ভ্যালু মাত্র ৪ শতাংশ কমেছে। যদিও ২০২২-এর শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত এই শেয়ারের মূল্যে এখনো পর্যন্ত এই শেয়ারের দাম ১৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে গত ১ বছর এটি নিজের বিনিয়োগকারীদের ১৭২২.৬৮ শতাংশ মাল্টিবেগার রিটার্ন দিয়েছে। যেখানে গত পাঁচ বছরে এই শেয়ারের দাম প্রায়
৬০১৬.৩৩ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর অর্থ হলো যদি কোনো বিনিয়োগকারী ১ বছর আগে IKAB শেয়ারে নিজের মাত্র ১ টাকা লাগিয়ে থাকে তবে আজ তার সেই শেয়ারের ভ্যালু ১৭২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ লাখ টাকার বেশি হয়ে যেত। আর যদি কেউ ৫ বছর আগে এই কোম্পানি শেয়ার ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনে থাকে তবে আজ তার শেয়ার ভ্যালু ভ্যালু ৬০১৬.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬১ লাখ টাকার বেশি হয়ে গেছে।
IKAB সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্ট লিমিটেড হল একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানি (NBFC) যার সদর দপ্তর মুম্বাইয়ে এবং RBI-এর সাথে রেজিস্টার করা রয়েছে। ৩৫৮.৩৬ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপ সহ কোম্পানিটি আর্থিক পরিষেবা প্রদানের ব্যবসায় রয়েছে। কোম্পানিটি চলতি বছরের মার্চে তার ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করে মধুসূদন কেলাকে এডিসন ডায়রেক্টর ও ম্যানেজিং ডায়রেক্টর হিসেবে নিয়োগ করেছে।