নিষ্পাপ চেহারার এই শিশুটি এখন বলিউড-টলিউডের নাম করা গুন্ডা, নাম বলার চ্যালেঞ্জের

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন কোন অভিনেতা এন্ট্রি নেন তখন তারা হিরো হওয়ার ইচ্ছা নিয়েই এন্ট্রি নেন৷ কিন্তু ডিরেক্টারের যদি অভিনেতাকে ভিলেন হিসাবে ভালো লাগে তখন ইচ্ছা না থাকলেও মানুষকে ভিলেনের অভিনয়ই করতে হয়। বিখ্যাত অভিনেতা সোনু সুদের গল্পটিও কিছুটা এরকমই। আসুন জেনেনি সোনু সুদের বিষয় কিছু বিশেষ তথ্য।

সোনু সুদ হলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় ভিলেনের চরিত্র পাঠ করা অভিনেতা। বলিউড, টলিউড ও সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ভিলেন হিসাবে তিনি খুব জনপ্রিয়। সোনু সুদ গুন্ডার চরিত্রে অভিনয় করলেও, বাস্তব জীবনে তিনি খুবই দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। লকডাউনের সময় তিনি বহু মানুষকে অনেক সাহায্য করেছেন। এই কারণে মানুষ তাকে পর্যন্ত ফেরেশতা হিসাবেও ডাকতে শুরু করেছিল। এছাড়া সোনুর ফ্যান ফলোয়িংও অসাধারণ মাত্রায় রয়েছে। তিনি ফিল্ম হিরো হয়তো হতে পারেননি কিন্তু মানুষ তাকে রিয়েল লাইফ হিরো বলে মনে করেন।

সোনু সুদের বয়স এখন ৪৮ বছর। তিনি ১৯৭৩ সালের ৩০ শে জুলাই মোগা পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি পড়াশোনার জন্য নাগপুর চলে গেছিলেন। খুব কম লোকই জানেন যে পাঞ্জাবি হওয়ার পরেও তিনি তেলেগু মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রীর নাম সোনালী। দুজনে ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান আছে।

সোনু হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ফিল্মে কাজ তো করেইছেন কিন্তু তিনি মডেলিংও করেছেন।তিনি অনেক বড় ব্র্যান্ডের জন্য মডেলিং করেছেন। এছাড়া তিনি মিস্টার ইন্ডিয়াতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।

সোনু সুদ অনেক ছবিতেই ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে সালমান খানের ফিল্ম ‘দাবাং’-এ তিনি গুন্ডার চরিত্রে অভিনয় করে অনেক প্রশংসা পেয়েছিলেন। এছাড়া সাউথ ফিল্ম অরুন্ধতী ছবিতে তিনি ভিলেনের ভূমিকার জন্য সেরা খলনায়কের নন্দী পুরস্কারও জিতেছিলেন। তিনি পার্শ্ব অভিনয়ের জন্য তেলেগু ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

সোনু ফিল্মি গুন্ডা হতে পারে কিন্তু বাস্তব জীবনে সে নায়ক। দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য তিনি ‘সুদ চ্যারিটি ফাউন্ডেশন’ চালান। বিশেষ করে লকডাউনের সময় তার কাছে সাহায্য চাওয়া মানুষের বন্যা এসে পরেছিল কিন্তু সোনুও কাউকে ফেরায়নি। যেকোনো সাহায্যপ্রাপ্ত মানুষের একটি টুইটে তিনি সাহায্যকারীর বাড়িতে সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন। এই কারণে তিনি আরো বেশি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন।