ভারতের এই ৭ টি আবিষ্কার যা বদলে দিয়েছে ভবিষ্যতের চিন্তাধারা, যার জন্য সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবে গোটা বিশ্ব
৭ টি আবিষ্কার যা ভারতে হয়েছে
আজ ১৫ই আগস্ট ২০২২। আজ আমরা দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন করছি। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। তৈরি হয়েছে অনেক নিয়ম ও আবিষ্কার হয়েছে অনেক অজানা বিষয়। তাই আজ আমরা স্বাধীনতা দিবসের দিন আমাদের আর্টিকেলে ভারতে আবিষ্কৃত ৭ টি বিষয় বা বস্তু নিয়ে আলোচনা করবো যার কারণে গোটা বিশ্ব ভারতের কাছে ঋণী হয়ে থাকে ও চিরকাল থাকবে। আসুন দেখেনি তালিকাটি।
১) দাবা বা Chess: ছয়ের শতকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রথম আবিস্কার হয় দাবা খেলার। এরপর এই খেলা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আজ এই খেলাটি গোটা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেলা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারন্যাশেনাল লেভেলে দাবা খেলা হয়। চেন্নাইয়ের বিশ্বনাথন আনন্দ একজন ভারতীয় দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং দাবা খেলার মাধ্যমে তিনি দেশের জন্য এনে দিয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
২) চোখের ছানি অপেরেশন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে চোখের ছানি অপারেশন খুবই বড় একটি অপেরেশন ধরা হয়। ভারতীয় চিকিৎসক প্লাস্টিক সার্জারির জনক সুশ্রুত প্রায় ৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে প্রথম ছানি অপারেশন করেছিলেন ও এই অপেরেশন আবিষ্কার করেছিলেন।
৩) আয়ুর্বেদশাস্ত্র: অনেক সময় অ্যালাপথি, হোমিওপথি যে রোগ সারাতে অসমর্থ হয় তা আয়ুর্বেদশাস্ত্রের সাহায্যে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। প্রায় তিন হাজার বছর আগে ভারতে উৎপত্তি হয়েছিল আয়ুর্বেদশাস্ত্রের।
৪) শূন্য: গণিতের সংখ্যামালায় ‘শূন্য’-র প্রচলন ভারতীয়রাই প্রথম শুরু করেন। গণিতজ্ঞ আর্যভট্ট ছিলেন এই শূন্যের আবিস্কর্তা। তাঁর এই আবিস্কারের ফলে অনেক সমস্যা সমাধানের পথ সহজ হয়ে গিয়েছে। আর এই আবিষ্কারের ফলে দেশ ও বিদেশ বা গোটা বিশ্বের মানুষ উপকৃত হয়েছে।
৫) জামার বোতাম: ভারতের সিন্ধু সভ্যতার সময়কালে জামার বোতাম আবিষ্কার হয়েছিল। সেই সময়ের মানুষেরা সম্পত্তির পরিমাণ বোঝাতে মূল্যবান বোতাম ব্যবহার করতো।
৬) সুতি: শুধু বোতাম নয় সিন্ধু সভ্যতার সময়কালে ইতিহাসবিদরা তুলোর চাষের সূত্র পেয়েছিলেন যা থেকে পোশাক তৈরি হত। সেই কারণে সুতির আবিস্কারও ভারতেই প্রথম হয় বলে মনে করা হয়।
৭) যোগব্যায়াম: ঋক বেদে উল্লেখ পাওয়া এই যোগব্যায়ামের প্রচলন প্রায় ২ হাজার বছর আগে ভারতে হয়েছিল। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে গোটা বিশ্বে কার্যকরী পদ্ধতির স্বীকৃতি পেয়েছে এটি।