“হেমা নাম পাল্টে হয়েছিলেন লতা”- জেনে নিন লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে ১০ টি অজানা তথ্য

লতা মঙ্গেশকর শিল্প ও সঙ্গীতের জগতে তিনি সেই জায়গায় ছিলেন, যেখানে সবচেয়ে রূপক প্রশংসাও তাঁর সামনে কম পড়ে। আজ তার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে একটি প্রবন্ধের পরিবর্তে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা ভালো হবে, যা সাধারণ তথ্যে কম। ১.লতা মঙ্গেশকর ৩৬টিরও বেশি ভাষায় ২৫ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন।২. ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণকারী লতার প্রথম নাম রাখা হয়েছিল হেমা। কিন্তু কিছু সময় পরে তার পিতা দীননাথ মঙ্গেশকরের ‘ভাববন্ধন’ নাটকের লতিকা চরিত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার নাম পরিবর্তন করে লতা রাখা হয়।

৩) একদিন তার বাবা এক শিষ্যকে কিছু শেখাচ্ছিলেন, শিষ্য ভুল রাগ বাজালে লতা তাকে বাধা দেন। তখন তার বাবার মনে হয়েছিল লতার মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। তিনি লতার সঙ্গীত শিক্ষার জন্য উৎসাহি হয়ে ওঠেন। ৫ বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু করেন লতা। ৯ বছর বয়সে, তিনি মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে প্রথমবারের মতো মঞ্চ থেকে গান করেন। ৪. তার বাবার মৃত্যুর পর, লতা ১৯৪২ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্রের গান গেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে তিনি বেশ কয়েকবার প্রত্যাখ্যাত হন।

নূরজাহান ও শামশাদ বেগমের তুলনায় তার কণ্ঠ কাঁচা বলে বিবেচিত হয়। তার গাওয়া প্রথম গানটি ছবির সম্পাদনায় কেটেছে। এই ছয় বছরে আটটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ৫. তিনি একটি ব্যাংকে তার প্রাথমিক সাফল্য থেকে আয় রাখতেন। একদিন হঠাৎ ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায় এবং লতার ১৪ হাজার টাকা ডুবে যায়। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকাও তাদের কাছে ছিল না। ৬. লতা ইংরেজিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না বলে ইন্টারভিউ দিতে লজ্জা পেতেন। তিনি উত্তরের জন্য হিন্দি বা মারাঠি বেছে নিতেন।

৭. লতা বিশ্বাস করেন যে তার গানের স্টাইল নূরজাহান দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি খুব কমই ডিস্কো গান গেয়েছেন।লতা বলেন, ‘রাজেশ রোশনের জন্য গান করেন তিনি কারণ তাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন রাজেশ, কিন্তু তার সেই দিনগুলি সংগ্রামের ছিল। তিনি জোরাজুরি করতেন যে দিদি, একটা গান গাও। তার জন্য গাওয়া ‘আংরেজি মে কহেতে আই লাভ ইউ…’ গানটিও হিট হয়েছিল।

৮. লতা অবিবাহিত ছিলেন। ক্রিকেট লতার প্রিয় খেলা, শচীন ছিলেন তার প্রিয় খেলোয়াড়। পবন কারে শোর… মুকেশের সাথে গাওয়া এই দ্বৈত গানটি তার খুবই প্রিয় ছিল। ৯. শরৎচন্দ্র চ্যাটার্জি, বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জি তাঁর প্রিয় লেখক ছিলেন। ১০. লতা, যাকে সঙ্গীতের সরস্বতী বলা হয়, সবসময় নিজেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছাত্রী বলেই মনে করতেন।

৬০ বছর বয়সে, যখন তার খ্যাতি সর্বজনীন হয়ে গিয়েছিল, তখনও তিনি একজন গুরুর কাছে গান শিখতেন। তারপর তাঁর গুরু ছিলেন তুলসীদাস শর্মা, যিনি বড়ে গোলাম আলী খানের শিষ্য ছিলেন। ১১. ৬০ এর দশকে, তিনি আনন্দঘন ছদ্মনামে মারাঠি চলচ্চিত্রেও সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন।তিনি সাধি মানসম (সাধারণ মানুষ) এর জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে সেরা সঙ্গীতশিল্পীর পুরস্কারও পেন। ১২. তিনি ভারতরত্ন সহ দেশের প্রায় সব প্রধান সঙ্গীত পুরস্কার পেয়েছেন।