না আছে স্বামী, না রয়েছে ছেলেমেয়ে! জানুন কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর

চিরতরে বিদায় নিলেন সুরের দেবি লতা মঙ্গেশকর। তাঁর বিষয়ে বেশি কিছু বলার দরকার হয় না। তিনি তাঁর গানের প্রতিভা যেমন দেখিয়েছেন তেমনি পাশাপাশি তিনি খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি তার মধুর কন্ঠ দিয়ে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। যে মানুষটা একদিন ২৫ টাকার বিনিময় মঞ্চে প্রথম পারফরম্যান্স করেছিলেন, সেই মানুষটি আজ দেশ-বিদেশে তাঁর নাম ছড়িয়ে দিয়েছেন। তার সাথে দেশের নামও উজ্জ্বল করেছেন।

তিনি তার পরিচয় যেমনি বানিয়েছেন। তেমনই খ্যাতি এবং প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬৮ কোটি টাকা। তিনি মুম্বাই শহরে বিলাসবহুল এলাকা পেডার রোডে প্রভু কঞ্জু ভবনে থাকতেন। তিনি গাড়ি যথেষ্ট পছন্দ করতেন। তিনি গাড়ির ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। তাঁর কাছে শেভ্ৰলেট, বুইক এবং একটি ক্রিসলারের গাড়ি ছিল। তাঁর ‘বীরজারা’ গানটি প্রকাশের সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা যশ চোপড়া তাঁকে একটি মার্সিডিজ উপহার দিয়ে ছিলেন।
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় মহিলা গায়ক হিসাবে তাঁর নাম সবার প্রথমে আসে। তিনি তাঁর সুরেলা কন্ঠ দিয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। ২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকারকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হয়েছিল। এর আগেই এই পুরস্কার পেয়েছিলেন গায়ক এম.এস. সুব্বলক্ষী। ফরাসি সরকার প্রবীণ গায়িকা হিসেবে লতা মঙ্গেশকরকে ‘অফিসার অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার’ পুরস্কারে সম্মানিত করেন ২০০৭ সালে। লতাজি তাঁর কর্মজীবনে ৩৬টির বেশী আঞ্চলিক ভাষা এবং বিদেশী ভাষায় গান গেয়েছিলেন।
তিনি ‘আয়েগা আসেওয়ালা’ গানটি ১৯৪৯ সালে গেয়ে রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন। এই গানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। এরপর মঙ্গেশকর শংকর জয় কিশান, নওশাদ আলী, অমরনাথ, আর ডি বর্মন এবং হুসেনলাল ভগত রামের মতো প্রতিষ্ঠিত সংগীতজ্ঞদের সাথে কাজ করেছেন।
