এটিই বিশ্বের সবথেকে উঁচু মন্দির! যাকে নিয়ে রয়েছে পুরাণের নানা অজানা কথা…
ভারতে দেবাদিদেব মহাদেবের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মন্দির রয়েছে, এরমধ্যে উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) রুদ্রপ্রয়াগের পাঁচটি মন্দিরের মধ্যে তুঙ্গনাথ (Tungnath)হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু মন্দির। আসলে শ্রাবন মাস হল দেবাদিদেব মহাদেবের মাস, এই মাসে শিবের কৃপা লাভে প্রচুর ভক্তরা নানা মন্দির যান। ঠিক তেমন ভারতে এখন বিশেষ কয়েকটি মন্দিরে রয়েছে যেখানে উপচে পড়া ভিড় হয়। মনে করা হয় জলাভিষেক করলে পুণ্য এবং আশীর্বাদ অর্জন করা যায়। তাই শ্রাবন মাস পড়তেই ভক্তরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মন্দিরে গমন করছেন। অনেকেই ভাবেন কেদারনাথ হয়তো বিশ্বের সবথেকে উঁচু মন্দির, কিন্তু আসলে তা নয়।
উত্তরাখন্ডের রুদ্রপ্রয়াগের পাঁচটি মন্দিরের মধ্যে তুঙ্গনাথ (Tungnath) ই হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু। এই মন্দির নাকি প্রায় কয়েক হাজার বছর পুরনো। শোনা যায় মহিষরূপী শিবের হৃদয় ও বাহু পুজো হয় এই মন্দিরে। উত্তরাখন্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায়, মন্দাকিনী এবং অলকানন্দার উপত্যকার উপর অবস্থিত এই মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ১২,০৮০ ফুট। এই মন্দিরটির ভিতরে আছে শিবের লিঙ্গ মূর্তি, কালভৈরব, ঋষি বেদব্যাস ও আদিশংকরাচার্যের তৈলচিত্র।
এছাড়াও রয়েছে আরো কিছু দেবদেবীর মূর্তি, যেমন- বিষ্ণু দেবতা, পঞ্চেশ্বরী মাতা, গৌরীশংকর, নন্দীদেব, ভৈরবনাথ। এই মন্দিরটির চূড়াটি তামার পাত দ্বারা নির্মিত আর গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি। গ্রানাইট পাথরে তৈরি এই অপরূপ সুন্দর কালো মন্দিরটি প্রায় প্রত্যেক শিব ভক্তদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের জায়গা। প্রতি বছর বহু পর্যটক এবং শিব ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। তবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই মন্দির খোলা থাকলেও শীতকালে প্রায় ছয় মাস এই মন্দির বন্ধ থাকে।
চোপতা থেকে ঘন সবুজ বুগিয়ালের পথ ধরে যেতে হয় এই মন্দিরে, মূলত গরমের সময় বা শরতকাল এই জায়গায় যাওয়ার জন্য সবথেকে ভালো সময়। চোপতার পর এই মন্দিরে যেতে ট্রেক করে যেতে হয়। অনেকেই এই বিষয়টি খুব ভালোবাসেন। তাই প্রতি বছর নিজেই একা বা পরিবার বন্ধুর সাথে প্রায়ই কেদারনাথের পথে যাত্রা করেন বহু ভারতীয়।