পিতার মৃত্যুর পর একসময় বেচতে হয়েছিল বাড়ি, আজ বছরে তৈরি করেন ১০০ কোটির সিনেমা

বলিউডের অন্যতম পরিচালক রোহিত শেট্টির নাম কে না জানেন ! কিন্তু এই রোহিত শেট্টির বর্তমান প্রগতিশীল জীবনের পেছনে যে একটা অন্ধকার অতীত আছে একথা সবাই জানেন না। তার এই নামডাক তৈরি করার পেছনে রয়েছে অনেক কঠোর পরিশ্রম। রোহিত শেট্টির বাবা ছিলেন একজন এম বি। পিতার অকালমৃত্যু রোহিত শেট্টির জীবনের স্বর্ণ যুগের অবসান ঘটায়।

তার পরিবারকে চরম আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই সমস্যা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তাদের বাড়ির সমস্ত গাড়ি তাদেরকে বন্দক রাখতে হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে তাদেরকে শেষ অবধি তাদের বাাড়ি ও বিক্রি করতে হয়েছিল। তিনি দেড় ঘন্টা পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতেন। 15 বছর পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর অর্থনৈতিক সমস্যার চাপে তিনি কাজের সন্ধানে ঘুরতে থাকেন।

শেষে তিনি দৈনিক 30 টাকার একটি কাজ পান। প্রথমে তাকে বিভিন্ন সিনেমাতে খুনি গুন্ডা রূপে দেখা যেতে লাগল। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হন। তিনি সর্বপ্রথম অজয় দেবগনের ‘ফুল অর কাঁটে’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন। যেখানে তিনি সবার মনে জায়গা করে নেন। এরপর ‘সোহাগ’ চলচ্চিত্রটি তার জীবনে এক নতুন মোড় আনে।

রোহিত শেট্টি সহকারি পরিচালক হিসেবে ; এমনকি অক্ষয় কুমারের বডি ডাবল হিসেবেও কাজ করেছেন। তাকে মূলধারায় নিয়ে আসে অজয় দেবগনের প্রথম ছবি ‘জামিন’। তারপর আজ তার এই পরিচালনার জগৎ খুবই উজ্জ্বল। 2010 থেকে 2018 এর মধ্যে তিনি 100 কোটি টাকার অনেক ছবি দিয়েছেন। তার সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘সূর্যবংশি’ উন্নতির শিখরে যাচ্ছে।

গোলমাল ছবিতেও তার দারুণ পরিচালনা দেখা গেছে। রোহিত শেট্টি বলেছেন যে তিনি অমিতাভ বচ্চনের কাছে চিরঋণী। কারণ – তাদের আর্থিক সংকটের সময় অমিতাভ বচ্চন তার মাকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। তাই তিনি তার একটা চলচ্চিত্রের নাম ‘বোল বচ্চন’ রেখেছিলেন। এখনো পর্যন্ত রোহিত শেট্টির চারটি ছবি 100 কোটিরও বেশি আয় করেছে।