চলে গেছে বাবার চাকরি, ডেলিভারি গার্ল হয়ে বাড়ির হাল ধরল বাড়ির মেয়ে

শোনা যায় যে পিতা-মাতার কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের সন্তানরা তাদের পাশে এসে দাঁড়াই। এরকম একটি উদাহরণ পাওয়া গেল যেখানে এক কন্যা তার বাবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা আবহে চারিদিকে যখন ভয়ানক পরিস্থিতি চলছিল। মারণ রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সারা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হল।

তখন সাধারণ মানুষ অনেক বিপর্যস্ত হয়। লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ কর্মচ্যুত হয়। এই মহামারী এবং লকডাউন বড় ব্যবসায়ী থেকে দিনমজুর সকলকে সমান ভাবেই বিপর্যস্ত করেছিল। ঠিক সেই সময় ওড়িশার এই মেয়েটিরও বাবা কর্মচ্যুত হয়েছিলেন। এই মেয়েটির নাম হচ্ছে বিষ্ণুপ্রিয়া। তাদের পরিবার চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।

সেই সময় এই মেয়েটির ঠিক করে যে সে তার বাবার পাশে এসে দাঁড়াবে। এই মেয়েটি আসলে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। কিন্তু বাড়ির যখন এই ভয়ানক পরিস্থিতি হয় তখন সে নানা দিকে চাকরি খুঁজতে থাকে। অনেক জায়গায় ইন্টারভিউ দেয় কিন্তু বার বার সে ব্যার্থ হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত জোমাটো অ্যাপ এর ডেলিভারি গার্ডের চাকরি পায়।

এই 18 বছর বয়সী মেয়েটি অত্যন্ত সাহসী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখন খাবার ডেলিভারি করে আসে। এই ডেলিভারির জন্য সে বাইক চালাতে পারতো না। তাকে তার বাবা বাইক চালানো শিখিয়ে দেন। এখন ডেলিভারি করার সাথে সাথে সে বাচ্চাদের টিউশন পড়ায় এবং নিজেও পড়াশোনা করে সাথে বাড়ির কাজেও সাহায্য করে। তার বাবা মা বলেছেন যে তাদের কোনো ছেলে নেয় কিন্তু বিষ্ণুপ্রিয়া তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একটা ছেলের মতই পাশে দাঁড়িয়েছে।