কবে থেকে তৈরী হচ্ছে এই অলংকার, বিবাহিত মহিলারা কেনই বা পরে শাঁখা সিঁদুর! কারণ জানতে

ভারতীয় হিন্দু সমাজে শাখা পলাকে বিবাহিত জীবনের চিহ্ন বলা হয়ে থাকে একটা মেয়ের ক্ষেত্রে। প্রাচীন যুগ থেকেই হিন্দু মেয়েরা বিবাহের পর শাখা, পলা ও সিঁদুর পড়ে থাকে। তাতে তাদের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করে তোলে। তবে আজ শাখার উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে? তা নিয়ে একটু আলোচনা করব।

বিয়ের দিন থেকে একটা মেয়ে শাঁখা পড়ে। এটি অলংকার হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। তবে মনে করা হয়, আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে দক্ষিণ ভারতে প্রথম শাখা শিল্পের উদ্ভব হয়েছিল। দক্ষিণ ভারত থেকে বাংলাদেশে শাখা প্রথা শুরু করেছিলেন বল্লাল সেন। শঙ্খ কেটে শাখা তৈরি করা হয়। স্বামীর মৃত্যু হলে সেই শাখা ভেঙে ফেলা হয়ে থাকে।

তবে পুরাণ মতে, মুনি-ঋষিদের সময় এক শয়তান অসুরের আবির্ভাব হয়েছিল। সেই অসুরের নাম ছিল শঙ্খাসুর। সে দেবলোক এবং মর্তলোক অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তখন ভগবান নারায়ন দেব তাঁকে হত্যা করেছিল। কিন্তু শঙ্খাসুরের স্ত্রী ছিল খুবই ধর্মপরায়ন এবং পতিব্রতা। তিনি ভগবান নারায়নের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, যাতে তাঁর স্বামী অমরত্ব ভগবান নারায়ণ তাঁকে দেন। ভগবান নারায়ণ তাঁর প্রার্থনা ফেলে দিতে পারেননি। তাকে শঙ্খাসুরের দেহের হাড় থেকে শাখা সৃষ্টি করে দেন। তখন থেকেই হিন্দু ধর্মে শাখার উৎপত্তি হয়েছে।

তবে ব্রিটিশ লেখক জেমস ওয়াইজের লেখা থেকে জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ ভারতে বাংলাদেশে শাঁখারিরা প্রথমবার এসেছিলেন বল্লাল সেনের হাত ধরে। এটা প্রায় ৯০০ বছর আগের কথা। তালে বলা যেতেই পারে, ভারতে আগে থেকেই শাখা শিল্পের উদ্ভব ঘটেছিল। যদিও এই বিষয়ে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। তবে একটা মেয়ের সৌন্দর্য পরিপূর্ণতা পেয়ে থাকে শাঁখা-সিঁদুর এবং পলাতে।