ভারতে (India) ভ্রমনীয় স্থানগুলির মধ্যে এমনকিছু স্থান রয়েছে যেগুলি কখনো পুরনো হয়না, তারমধ্যে একটি অন্যতম স্থান হল সিমলা (Shimla)। পার্বত্য অঞ্চলে ঘেরা এই মেঘ পাহাড়ির দেশ নিয়ে প্রত্যেক মানুষেরই দারুণ ভালোলাগা জমে রয়েছে। বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমনীয় স্থানের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান এইটি। গ্রীষ্ম হোক বা শীত সারা বছরই এই স্থানে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। এমনকি বর্তমানে বহু সিনেমা এবং সিরিজের শুটিং লোকেশন হিসেবে এই রাজ্যকেই বেছে নেওয়া হয়। আর আমাদের মধ্যে যারা পাহাড়প্রিয় মানুষ তাদের তো কোনো কথাই নেই। কারণ অকারণ বারবার ছুটে যাওয়া পাহাড়ে, সাথে ম্যাগি আর চাই সঙ্গী। তবে আপনি কি জানেন এই অঞ্চলের একটি অজানা ইতিহাস আছে? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেটি কি। বৃটিশ আমলে এই হিল স্টেশন খুবই বিখ্যাত ছিল, যা সেই সময়ে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী করা হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ অসুস্থ ঠাকুমাকে পাহারা দিচ্ছে ছোট্ট হনুমান, নেটপাড়ায় তুমুল ভাইরাল আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও
শ্যামলা শব্দ থেকে উদ্ভূত এই শব্দই এখন এই রাজ্যের নামে। তবে আরো একটা গল্প রয়েছে এর পেছনে জাখু পাহাড়ে কালী মাতার একটি মন্দির ছিল। আর সেই চত্বরে স্থাপিত মা শ্যামলা মাতা নামে পরিচিত, সেখান থেকেই এই রাজ্যের নামকরণ হয়। এমনকি ব্রিটিশরা এই জায়গাকে সিমলা (Shimla) বলে ডাকতো এবং ইংরেজিতেও এই নাম লেখা হতো।
এরপর হিমাচল সরকার যেভাবে হিন্দিতে এই রাজ্যের নাম লিখতো তেমন ইংরেজিতেও লেখা হতো। এই স্থান আগে পাঞ্জাবের অস্থায়ী রাজধানী ছিল। এটি ভারতের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হিল ষ্টেশন। স্বাধীনতার পর এই জায়গাই পাঞ্জাবের অস্থায়ী রাজধানী হয়েছিল, কিন্তু পরে এটিকে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী করা হয়।
তবে পাহাড়ের রানী নামে জনপ্রিয় এই স্থানের পুরো কৃতিত্ব যায় চ্যারিস প্র্যাট কেনেডির ওপর। ব্রিটিশরা যখন ভারতে রাজ করছিলো তখন ১৮৮২ সালে কেনেডি সিমলায় প্রথম বাড়িও তৈরি করেছিলেন। এটি কেনেডি হাউস নামে পরিচিত ছিল। ১৮৬৪ সালে এই স্থানকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।