আর্থিক সমস্যা ও কঠিন চেষ্টার পরে প্রথম স্থান বিহারের যুবকের! জানুন ইউপিএসসি টপারের সংগ্রামের কাহিনী…

ইউপিএসসি (UPSC)পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন  বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা শুভম কুমার (Shubham Kumar)। ২০২০ সালে এই পরীক্ষায় টপ করে তিনি নয়া রেকর্ড গড়েছিলেন। অনেকেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দিন রাত এক করে পড়াশোনা করেন কিন্তু সাফল্য পান না। কিন্তু এই যুবক প্রথম স্থান পেয়ে আমাদের দেশকে দারুণ গর্বিত করেছেন। ওই যুবকের বাবা সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, তাঁর ছেলে ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে ছেলের পড়াশোনায় কোনো কমতি থাকতে দেননি তিনি।

আরো পড়ুনঃ ঠিক যেন ভূতুড়ে বাড়ি! একরের পর একর জমি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চিনের এই সুবিশাল ভিলাগুলি, দেখলে চমে যাবেন আপনিও…

একটা সময় ছিল যখন ইউপিএসসি টপার  ওই যুবকের বাবা দেবানন্দ সিং-এর কাছে ৫০০ টাকা ছিল না। যার কারণে তিনি ১৯৮৩ সালে তার IIT পরীক্ষা দিতে পারেননি। কিন্তু সেই দিনের কথা কখনোই ভোলার নয়। নিজের ছেলে সেই স্বপ্ন পূরন করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় সারা দেশে সে প্রথম হয়ে গর্বের মুহূর্ত তৈরি করেছে। আর্থিক অনটনের কারণে তিনি নিজে যা করতে পারেননি, তার ছেলে তা করেছে।

Shubham Kumar secured the first position in the UPSC examination

শুভম কুমার (Shubham Kumar) একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে, “আমি টুয়েলভ ক্লাস থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাকে ইউপিএসসি এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তাই আমি রসায়ন, পদার্থবিদ্যা এবং গণিতে ভাল ছিলাম বলে এই বিষয়গুলি নিয়ে আরো ভালো করে পড়াশোনা করতাম। তবে আমি একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি, তাই মনে হয়েছিল যে আমি যদি IIT ক্লিয়ার করি তবে আমার ভবিষ্যত নিরাপদ হবে। আমি সর্বদা সেই চেষ্টাই করে গেছি।

Shubham Kumar secured the first position in the UPSC examination

আরো পড়ুনঃ কুমিরের ভিড় ফাঁকি, নাকের নিচ থেকে বেরিয়ে এল মোরগ! পরাজিত মৃত্যু

তিনি জানান, “আমি মাত্র ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। ইউপিএসসি ক্লিয়ার করার আগে, আমি ভারতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাউন্ট পরিষেবাতে নির্বাচিত হয়েছিলাম। যদিও ছোটবেলা থেকেই আমি আইএএস হতে চেয়েছিলাম। এজন্য ৩বার পরীক্ষা দিয়েছি। তবে প্রথমবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও দ্বিতীয়বার য়ামি ২৯০  র‌্যাঙ্ক করেছিলাম। এরপর  তৃতীয়বার আমি এক নম্বর র‌্যাঙ্ক করেছি। তার জন্য আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওনারা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে এসেছেন।”