পণের ১১ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ছেলের বাবা, বললেন ‘টাকা চাই না, লক্ষী চাই’

অনেকের ধারণা সংসারে মেয়েরা যেন একটা বোঝার মতন। জন্মের পর থেকেই তাঁর জন্য চিন্তায় থাকেন বাবা মা। ছোট থেকে আগলে আগলে বড় করার ভয়, আর বিয়ের সময় পণ থেকে শুরু করে মেয়ের ব্যবহারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হবে কিনা, সেই ভয়। একটার পর একটা ভয়ই কাজ করে যায়। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে এসকলের কোনটাই কিন্তু দেখা যায় না। তাঁকে বেশ সযত্নেই মানুষ করতে দেখা যায়।

তবে বিয়ের সময় যৌতুক অর্থাৎ পণ দেওয়া এবং পণ নেওয়া বড় অপরাধ বলে গণ্য হলেও, আমাদের দেশে এখনও এই প্রথা সম্পূর্ণ রদ হয়ে যায়নি। এখনও দেখা যায়, পণের জন্য হয়ত কোন মেয়ের বিয়ে আটকে গেছে, কিংবা বাবা মা তাঁদের সর্বস্ব দিয়ে মেয়েকে বিদায় দিচ্ছে। তবে আজ এমন একটি ঘটনার বিষয়ে বলব, যা শুনে অবাক হয়ে যাবেন আপনারাও।

ঘটনাটি রাজস্থানের। সেখানের বুন্দি জেলার পিপারওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রিজমোহন মীনা, নিজের ছেলে রামধন মীনার সঙ্গে টঙ্ক জেলার উনিয়ারা তহসিলে অবস্থিত মান্দাভারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাতপুরা গ্রামের আরতি মীনার বাগদানে গিয়ে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটালেন। সমাজের ঐতিহ্য ও রীতিনীতি অনুযায়ী কনের পক্ষ থেকে দেওয়া ১১ লক্ষ টাকা ১০১ টাকার পণ ফিরিয়ে দিলেন ছেলের বাবা ব্রিজমোহন মীনা।

মেয়ের বাবা রাধেশ্যাম যখন ছেলের বাবা ব্রিজমোহনকে ১১ লক্ষ ১০১ টাকা টাকা পণ স্বরূপ দিতে যায়, তখন তা ফিরিয়ে দেন ব্রিজমোহন মীনা। ছেলের বাবা অর্থ ফিরিয়ে দিতেই মেয়ের পরিবারের চোখে মুখে অন্ধকার নেমে আসে। তাঁরা ভাবতে থাকেন,এই অর্থে হয়ত সন্তুষ্ট নন ছেলের পরিবার। কিন্তু তখনই তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে, ব্রিজমোহন মীনা বলেন তাঁদের পরিবার পণপ্রথার বিরুদ্ধে। তাই তাঁরা এই অর্থ নিতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি টাকা চাই না, লক্ষী চাই’। এই বলে মাত্র ১০১ টাকা নেন ছেলের বাবা ব্রিজমোহন মীনা।