জানুন কী ছিল সেই প্রশ্ন , যার উত্তর দিয়ে ১৯৯৪ সালে ঐশ্বর্য রাই হাসিল করেছিলেন Miss World এর খেতাব

বিশ্বসুন্দরী হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটি মেয়েরই থাকে যারা মডেলিং দুনিয়াকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে বিজয়ীদের কেবল তাদের দৈহিক সৌন্দর্যই নয়, তাদের মানসিক এবং বুদ্ধিদিপ্তও হতে হয়। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে উপস্থিত ভারতীয় সুন্দরী সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মানুষি চিল্লার যার অন্যতম উদাহরণ।

২০১৭ সালে, মিস ওয়ার্ল্ড মানুশি চিল্লার তার উদারতা এবং সচেতনতা মুলক মনভাবের জন্য মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এবং অপর দিকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ১৯৯৮ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতেছিলেন। এ সময় তাকে একটি প্রশ্ন করা হলে তিনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৯৮ প্রতিযোগিতায় ঐশ্বরিয়ার এই উত্তরই স্পষ্ট করে দেয় কেন তিনি এই খেতাব জিতেছিলেন।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে ঐশ্বরিয়াকে কী এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল! বিষয়টি এত পুরানো, অনেকেই এই সম্পর্কে অবগত নই, তবে ঐশ্বরিয়া যখন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছিলেন, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে একজন মিস ওয়ার্ল্ডে কী কী গুণাবলী থাকা উচিত? যার জবাবে ঐশ্বরিয়া রাই বলেছিলেন, ‘আমরা এখন যত মিস ওয়ার্ল্ড দেখেছি, তারা সকলেই খুব উদার মনভাবাপন্ন ছিল।

তারা শুধু প্রবীণদের জন্যই নয়, এমনকি অন্যান্যদের জন্যও ভেবেছিলেন। এমন কি তারা মানবসৃষ্ট বাধা – জাতীয়তারও বাইরে দেখতে পারে, তবেই একজন সত্যিকারের মিস ওয়ার্ল্ড আবির্ভূত হবে। একজন সত্যিকারের মানুষ হবে। সেই সময়ে অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ৮৭ টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল, কিন্তু এই সবকে পিছনে ফেলে ঐশ্বরিয়া শুধু তার সৌন্দর্যের জোরেই নয়, তার বুদ্ধি দিয়ে মানুষের মন জয় করেছিলেন।

সেই সময় ঐশ্বরিয়ার বয়স ছিল ২১ বছর এবং তিনি স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তিনি তার যোগ্যতার জোরে চলচ্চিত্র জগতে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন। ‘অর পেয়ার হো গয়া’ দিয়ে বলিউডে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। এর পরে, তিনি তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত হাম দিল দে চুকে সনম, তাল, গুজারিশ, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিলের মতো ছবিতেও কাজ করেছেন।

ঐশ্বরিয়ার এসব গুণের কারণে আজও দর্শকরা তাকে অনেক ভালোবাসা ও সম্মান দেন। এখন ঐশ্বরিয়া বিবাহিত এবং তিনি এখন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হিসেবেও পরিচিত। ঐশ্বরিয়ার জীবনের যাত্রা এত সহজ ছিল না, তিনি যা কিছু অর্জন করেছেন, তিনি তার প্রতিভার জোরেই অর্জন করেছেন।