১০২ বছর বয়সেও ছেড়ে দেননি হাল নিজে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়েও ৭০ বছর ধরে গ্রামের মানুষদের করছেন শিক্ষিত

শিক্ষা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া মানুষ উন্নত দুনিয়া সম্বন্ধে অবগত থাকবেনা। শিক্ষা কখনোই বৃথা যায় না। বরং শিক্ষায় করে দেয় রোজগারের রাস্তা। শিক্ষার গুরুত্ব বোঝার সহজ উদাহরণ হল একজন শিক্ষিত মানুষকে এবং আরেকজন অশিক্ষিত মানুষকে যদি সামনে রাখা হয়, তাহলে তাদের কথোপকথনের পার্থক্যটি ভালভাবেই বুঝতে পারা যায়। তবে সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা হয়তো খুব বেশি শিক্ষিত নন। কিন্তু তারা বোঝেন শিক্ষার গুরুত্বটা। তারা অন্য মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য সব সময় প্রস্তুতি থাকে।

গল্পটি হলো একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি। তাঁর নাম হলো নন্দ কিশোর। তার বয়স এখন ১০২ বছর। তিনি সপ্তম শ্রেণি অব্দি পড়াশোনা করেছেন। তিনি শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে তাঁর জীবনের ৭০টা বছর মানুষকে শিক্ষিত করার পিছনে উৎসর্গ করেছেন। তিনি তাঁর গ্রামের মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ১০২ বছর বয়সে তার এই মহান কাজের তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

নন্দ কিশোর উড়িষ্যার বাসিন্দা। তিনি তাঁর কাজ দিয়ে সকলের মন জয় করেছেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো তিনি মারা গিয়েছেন। তবে তাঁর দেওয়া শিক্ষার গুরুত্ব তাঁকে সব সময় স্মরণ করিয়ে রাখবে। তিনি এত ভালো কাজ করেছেন, যে তাঁর সামনে যে কেউ মাথা নত করতে করবে সহজেই।

তিনি ৭০ বছর ধরে গ্রামের শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের শিক্ষিত করেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর এবং শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা যায়। তিনি চেষ্টা করেছেন তাঁর এলাকায় প্রতিটি মানুষ যেন শিক্ষিত হয়। তিনি চাইতেন তাঁর গ্রামের প্রতিটি মানুষ শিক্ষিত হয় এবং নিরক্ষরতা দূর হয়। তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম থেকে নিরক্ষরতা দূর করা।