ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে জৈবিক পদ্ধতিতে শুরু করেন পেয়ারা চাষ, আজ বেতনের চারগুণ করছেন আয়

কাজ কোনোটাই কখনো ছোট হয় না। যদি সঠিক প্রচেষ্টা থাকে তবে নিজের কাজকেও অনেক বড় রূপ দেওয়া যায়। কোভিড সংকটে বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন বিভিন্ন সেক্টরে। প্রত্যেককেই জীবনের তাগিদে করতেই হয় কোন না কোন কাজ। বর্তমানে অনেকেই করছে ছোট, বড় বিভিন্ন প্রকারের ফার্ম। কেউ পশু পালন, কেউ কৃষিকাজ বা কেউ ফল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

হরিয়ানার সোনিপাতের শাহজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা কপিল। যিনি করোনা পরিস্থিতিতে পেয়ারার জৈব চাষ শুরু করেছিলেন। এবং আজ তিনি এই পেয়ারা চাষে খুবভালো লাভ করছেন। হরিয়ানার কপিল তার নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই পেয়ারার জৈব চাষ শুরু করেন।করোনা আসার আগে কপিল ব্যাঙ্ক সেক্টরে কাজ করতেন।

কিন্তু কোভিড -এর সময়ে তাকে সোনিপত থেকে গুজরাটে বদলি করা হয়। এমথ অবস্থায় তার পক্ষে চাকরিটা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। পেয়ারার জৈব চাষের ব্যাপারে ভালো জ্ঞান ছিল কপিলের। তিনি চাকরিতে যে বেতন পেতেন তার থেকে ৪ গুণ বেশি আয় করছেন এই পেয়েরা চাষ থেকে। লক্ষ করলে দেখা যাবে সমাজে জৈব চাষের প্রতি মানুষের ঝোঁক দিন দিন বেড়েই চলেছে।

যত দূর জানা যায় যে, কপিল তার বাগানে মোট ৮ টি ভিন্ন প্রকারের (জাতের) পেয়ারা উৎপাদন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এই পেয়ারার গুণাগুণ তাইওয়ানের পেয়ারাকেও হার মানাতে পারে। এই কারণেই কপিলকে তার ফল বাজারে পাঠানোর প্রয়োজন হয় না। ক্রেতারা নিজেরাই তাদের অর্ডার দেন এবং সংগ্রহ করে নিয়ে জান।

কপিল চাকরি ছেড়ে বাগান করার ঝুঁকি নিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি এবং এর ফলে তিনি এখন প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তার সাফল্য এখন তার এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। পেয়ারা চাষের টিপস পেতে দূর-দূরান্ত থেকে তরুণ-তরুণীরা কপিলের কাছে আসেন। পেয়ারা চাষের পাশাপাশি কপিল তার খামারে লেবুও চাষ করেন।