মূলত এই দুটি কারণ এর জন্যই এখনো পর্যন্ত ডিভোর্সি হয়েও সিঁথিতে সিঁদুর পরেন মহাভারতের দ্রৌপদী

মহাভারতের দ্রৌপদীর পাঁচটি স্বামী ছিল। তবে এই যুগে দ্রৌপদী ডিভোর্স হওয়ার পরেও মাথায় সিঁদুর পরেন। তবে দ্রৌপদী বলতে এখানে দাপুটে নেত্রী রুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায় বলা হয়েছে। তাঁকে অনেকে কটাক্ষ করে মহাভারতে দৌপ্রদী বলে থাকেন। তিনি একজন অভিনেত্রী ও বিজেপি দলের দাপুটে নেত্রী। রুপা কোন ভনিতা পছন্দ করেন না। তিনি মুখের ওপর সোজাসাপ্টা বলে দিতে পছন্দ করেন। এই কারণেই তাঁর ইমেজ অনেকের কাছেই ভালো নয়, তাতে হয়তো অভিনেত্রী কিছুই যায় আসে না। তিনি নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছেন।

রুপা শুটিং সেটে বা রাজনীতির ময়দানে খুবই সোজাসাপ্টা কথা বলে থাকেন। তাঁকে সমঝে চলেন তাঁর দলের নেতারা এবং বিরোধী দলের নেতারাও। তাঁর সঙ্গে খুব একটা লাগতে আসে না। তবে ইন্ডাস্ট্রি জীবনে তিনি খুব একটা সুযোগ পাননি কাজ করার। তিনি গুটিকয়েক ছবিতে কাজ করেছেন। তবে তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি অসাধারন গান করতে পারেন। ‘অবশেষে’ ছবির রবীন্দ্র সংগীত গানটির জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।

রুপার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে এ বিষয়ে বহু জল্পনা রয়েছে। বিশেষত তাঁর প্রেম এবং বিবাহ নিয়ে। একটা প্রশ্ন সবারই মধ্যে ঘুরপাক খায়, এই অভিনেত্রী কি বিবাহিত না অবিবাহিত? তাঁর অনুগামীরা জানান, তিনি বিয়ে করেছিলেন স্বামী ধ্রুব মুখার্জির সাথে। তবে তাঁর সাথে বহুদিন আগে ডিভোর্স হয়ে গেছে রুপার। তবে তিনি এখনও সিঁদুর পরেন। এই বিষয়ে অনেক চর্চা হয়ে থাকে। বর্তমানে তিনি গায়ক দিব্যেন্দু সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক রয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে রুপা বলেছিলে, ‘আমি দুটো কারণে সিঁদুর পড়ে থাকি। প্রথমত আমার পরিবারের সুস্থতা জন্য, তারা যেন ভালো থাকে। দ্বিতীয়তঃ নিজেকে সিঁদুর পরলে দেখতে ভালো লাগে তাই আমি সিঁদুর পড়ে থাকি।’ এই জন্য তাঁকে নিয়ে অনেক কটাক্ষ করা হয়েছে। তাকে মহাভারতের দ্রৌপদীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তবে তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না। তিনি এটাও বলেছেন, ‘এক সময় তো আমার মুখে ব্রণ দেখেও লোকে নানা কথা বলতো।’ জীবনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেছেন ‘জীবনে কি পেয়েছি বা পায়নি, তা ভাবতে বসলে বড্ড কষ্টের জীবন কাটবে। তার থেকে যা পেয়েছি তা নিয়ে থাকা অনেক ভালো।’