জীবনের প্রথম উপার্জন মাত্র ২৫ টাকা, জানুন লতা মঙ্গেশকরের জীবনের সাথে জুড়িত একাধিক অজানা তথ্য

আজ সকালেই প্রয়াত হলেন সুরের জগতের দেবী লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর গানের গলার জাদু গোটা বিশ্বকে মনমুগ্ধকর করেছে। তিনি অনেক হিন্দি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তিনি ভারতরত্ন পুরস্কার সম্মান ভূষিত হয়েছিলেন। তার মিষ্টি মধুর কন্ঠ মানুষের মনে তাঁর জন্য ভালোবাসা করে নিয়েছে। আজ তার সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন।

১. তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৮ শে সেপ্টেম্বর ১৯২৮ সালে এক মারাঠি পরিবারে। তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর, একজন নাট্য অভিনেতা এবং গায়ক ছিলেন।
২. লতাজির বায়োপিকে ‘লতা সুর গাথা’ ছবিতে রাজ কাপুর চেয়েছিলেন লতাজি অভিনয় করেন মুভিতে। কিন্তু তিনি মানা করে দেন। পরে জিনাত আমান অভিনেত্রী হিসেবে ওই মুভিতে অভিনয় করেন। এই মুভির জনপ্রিয় গান ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’।
৩. লতাজি ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি ‘কিসতি হাসাল’ গান গেয়েছিলেন। তিনি প্রথমবার মঞ্চে গান গেয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ২৫ টাকা। লতা মঙ্গেশকরের ভাই এবং বোনেরাও গানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর এবং তাঁর তিন বোন উষা, মিনা এবং আশা মঙ্গেশকার তিনজনে সংগীতের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন।

৪. লতা মঙ্গেশকার ভাই হিসাবে রাখি পড়াতেন দিলীপ কুমারকে। তিনি দিলীপ কুমারকে সব থেকে কাছের মানুষ বলে মনে করতেন। তবে একবার তিনি দিলীপ কুমারের উপর খুব রেগে গিয়ে তাঁর সাথে দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্ক রাখেননি।
৫. যতীন মিশ্রর বই ‘লতা সুর গাথা’তে গানের রেকর্ডিং নিয়ে তিনি বেশ কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওই সময় সারাদিনই রেকর্ড করতে হতো, ক্লান্ত হয়ে পড়লেও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পেতাম না। কারণ মাথায় সবসময় ঘুরত যেভাবে হোক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। রেকর্ডিং করার সময় যখন ভীষণ খিদে পেত, তখন ক্যান্টিনে চা বিস্কিট খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতাম। মনে নেই ক্যান্টিনে অন্য কোন খাবার পাওয়া যেত কিনা। কিন্ত অনেক সময় সারাদিন শুধু জল খেও কাটিয়ে দিয়েছি।’
