২০ টি ভাষাতে লতা মঙ্গেশকর গেয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি গান, কখনো কাঁদতে বাধ্য হয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা আবার কখনো নাচতে

ভারতের প্রতিভাবান গায়িকা লতা মঙ্গেশকর তাঁর গানে জাদু দিয়ে দেশ বিদেশের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে ছিলেন। তিনি ৬ দশকের বেশি সময় ধরে সংগীত জগতকে মাতিয়ে রেখে ছিলেন। তিনি ২০ টি ভাষায় ৩০ হাজারটি গান গেয়েছেন। তাঁর গলায় কিছু কিছু গান শুনলে চোখে জল চলে আসত। কখনো বা সীমান্তে দাঁড়ানো সৈন্যদের উদ্দেশ্যে তিনি গান গেয়েছেন। তিনি নিজের সংসার জীবন যাপন না করে, সম্পূর্ণরূপে সংগীতে মনোনিবেশ করেছিলেন।

ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। লতাজির পাশাপাশি তাঁর বোন আশা ভোঁসলেরও সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে চলচ্চিত্র গানে। লতা মঙ্গেশকার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২৯ সালে, ২৪ শে সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে। তাঁর বাবা দিননাথ মঙ্গেশকর একজন দক্ষ থিয়েটার অভিনেতা এবং গায়ক ছিলেন। লতাকে তাঁর বাবাই গানের হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। তিনি মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে গান শিখতে শুরু করেছিলেন তার বাবার কাছে।

লতা মঙ্গেশকরের গলায় মধুর কন্ঠ রয়েছে এবং তার প্রাণবন্ত অভিব্যক্তি ও জিনিসগুলো খুব দ্রুত বোঝার অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী তিনি। তাঁকে সুরের জগতে দেবী বলা হয়ে থাকে। তিনি ভারতরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন। তবে তিনি খুব কষ্ট করে নিজের সংগীত জীবন শুরু করেছিলেন। তখন তাঁকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রথমত, তাঁর পাতলা কন্ঠে জন্য তাঁকে সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ দিতে অনেকে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁকে বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়িকা নূরজাহানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে নিজের মেধা এবং প্রতিভার জোরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

সর্বোচ্চ সংখ্যক গান রেকর্ড করার গৌরব রয়েছে লতা মঙ্গেশকরের। তিনি চলচ্চিত্র ছাড়াও নন ফিল্মি গানগুলোও খুবই ভালো গেয়েছেন। তিনি বসন্ত জোগলকরের ছবি ‘সেবা মে’তে গান গাওয়ার সুযোগ পান। এই ছবির গানের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যান লতা মঙ্গেশকর। এরপর তিনি ‘আংরেজি ছোড়া চালা গয়া’, ‘দিল মেরা তোদা’ প্রভৃতি গান গেয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি শুধু দেশের মানুষের মন জয় করে নেননি, বিদেশেও তার ভক্তের সংখ্যা প্রচুর।