ভারতের সুরের দেবী বলা হয় থাকে লতা মঙ্গেশকরকে। বিশ্বাসই করা যাচ্ছে না, তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই। যে মানুষটি ৩০ টি ভাষায় ৩০ হাজার গান গিয়েছিলেন। সেই মানুষটি চিরতরে হারিয়ে গেলেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। শুধু ফেলে রাখলেন স্মৃতি স্বরূপ অমূল্য গানগুলো।
![](https://celebhub.in/wp-content/uploads/2022/02/gettyimages-1252411474-612x612-1.jpg)
লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালে ২৮ শে সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার থেকেই তাঁর গানের হাতে খড়ি। তবে তাঁর বাবা দিনোনাথ মঙ্গেশকরের হঠাৎ করে মৃত্যুতে, লতাকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি অর্থের তাগিদে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তাঁর গ্ল্যামার জগত একদমই ভাল লাগেনি। তাই তিনি পরে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন গানের জগতে।
তবে শুরুর দিকে তাকে যথেষ্ট স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। তাঁকে বারবার সমালোচনার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল। তাঁকে প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায় অপমান স্বরূপ বলেছিলেন, ‘বড় সরু গলা’। তাঁর গানের গলা নিয়ে অনেকে সমালোচকরা নুরজাহানের নকল বলতেন। কিন্তু তিনি এসব কোনদিনই পাত্তা দেননি। কারণ তিনি জানতেন, সমালোচনা তাঁকে শুনতেই হবে। তিনি তার কাজের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী ছিল।
![](https://celebhub.in/wp-content/uploads/2022/02/gettyimages-136066814-612x612-1.jpg)
তিনি প্রথম মঞ্চে গান গেয়ে ২৫ টাকা উপার্জন করেছিলেন। তবে তাঁর ক্যারিয়ারের দরজা খুলে ছিল মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসলে’ গান গেয়ে। তিনি গীত, গজল, ভজন, রোমান্টিক গান এবং দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন। তিনি ৩০ টি ভাষায় ৩০,০০০ উপরে গান গেয়েছেন। তিনি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ৭০০টি গান রেকর্ড করেছিলেন লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলালের সঙ্গে।