সামনে এল ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ঘন কালো চুলের রহস্য, রইল বিশ্বসুন্দরীর ব্যবহৃত তেল শ্যাম্পুর নাম

ভারতের অত্যন্ত সুন্দরী এবং বিখ্যাত নারী হিসেবে বিশ্বব্যপী পরিচিত ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। যার সৌন্দর্য্যের পাগল গোটা দুনিয়া। তার রূপের পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্যও সবাইকে আকৃষ্ট করে থাকে। তথ্য অনুযায়ী, তিনি তার সৌন্দর্যের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে থাকেন। প্রায় ৪৮ বছর বয়সেও তার চুল খুব ঘন এবং চকচকে।

প্রকৃতপক্ষে, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বিশ্বজুড়ে অনেক প্রসাধনী এবং সৌন্দর্য পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পারেন। কিন্তু তার সৌন্দর্যের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ঐশ্বরিয়া ঘরোয়া প্রতিকার এবং প্রাকৃতিক ভেষজ গুলিতে বেশি বিশ্বাস করেন। আলোচনায় জেনে নেওয়া যাক ঐশ্বরিয়ার চুলের যত্ন বা পরিচর্চার বিষয়ে।

১. হাইড্রেশনের সহজ উপায়-

চুল চকচকে এবং সিল্কি রাখতে ঐশ্বরিয়া হাইড্রেশনের সম্পূর্ণ যত্ন নেন। এর জন্য, তিনি চুলে তেল দেন এবং দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করেন। ঐশ্বরিয়া তরল খাবার এবং তাজা ফল খাওয়ার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেন। কারণ এটি চুলের পাশাপাশি শরীরের হাইড্রেশন দেয়, যার কারণে চুল শুষ্ক থাকে।

২. চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর উপায়-

ঐশ্বরিয়া তার চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে নিয়মিত চুলে তেল লাগান। তিনি চুলের ম্যাসাজের জন্য অপরিহার্য তেল ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। এর পাশাপাশি ঐশ্বরিয়া সঠিক ডায়েট নেওয়ার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেন। তার একটি সাক্ষাত্কারে সৌন্দর্যের গোপনীয়তা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে অ্যাশ বলেছেন, ‘আপনি যা খান তার প্রভাব আপনার ত্বক এবং চুলে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। সেজন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস সবসময় স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে’।

৩. প্রিয় হেয়ার মাস্ক-

ঐশ্বরিয়া রাই তার চুলে দই এবং অ্যাভোকাডো হেয়ার মাস্ক লাগাতে পছন্দ করেন। তার সুন্দর চুলের রহস্য শেয়ার করে ঐশ্বরিয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে, তিনি বাজারে পাওয়া হেয়ার মাস্কের পরিবর্তে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক লাগাতে পছন্দ করেন। কারণ এগুলো ভেষজ এবং চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়।

৪. অ্যারোমা থেরাপি পছন্দ-

একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া জানিয়েছেন যে, তিনি অ্যারোমা থেরাপি পছন্দ করেন। এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক শান্তি বৃদ্ধির একটি কার্যকরী উপায়। ঐশ্বরিয়ার প্রিয় তেলের মধ্যে রয়েছে চন্দনের তেল, ইউক্যালিপটাস তেল, ক্যামোমাইল তেল এবং লেমনগ্রাস তেল। অ্যাশ বিশ্বাস করেন যে অ্যারোমা থেরাপি মস্তিষ্ক এবং বিপাকের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি মনকে শান্ত করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।