দেশের মধ্যেই রয়েছে এমন এক রেল স্টেশন যার নেই কোন নাম! তাহলে কীভাবে যান যাত্রীরা, জেনে চমকে যাবেন

ভারতীয় রেল পরিষেবা গোটা দেশ জুড়ে বিস্তৃত। লক্ষ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য রেলওয়ের সুবিধা নিয়ে থাকে। বলা যেতে পারে সবথেকে বড় পরিষেবা প্রদান করে থাকে ভারতীয় “রেল”। খুব কম খরচেই যাত্রীদের দূর-দুরন্তে পৌঁছে দেয় অল্প সময়ের মধ্যেই।

রেলের এতবড় পরিষেবার দেওয়ার জন্য বহু মানুষ প্রতি মুহূর্তে উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু
এটা জেনে আপনিও নিশ্চয়ই অবাক হবেন, ভারতে এমন একটি রেলওয়ে স্টেশন বা প্লাটফর্ম আছে যার কোনও নাম নেই! কি ভাবছেন এটাও কি হতে পারে? হ্যাঁ, সত্যিই বিষয়টা অবাক করার মতোই। একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, যাত্রীরা তাহলে কি ভাবে প্লাটফর্মটিকে ব্যবহার করেন?

যখন “নাম”নেই তাহলে সেই স্টেশনে যাওয়ার জন্য মানুষ ট্রেন ধরবেন কীভাবে, আর কীভাবেই বা তাঁরা সেই স্টেশনে নামবেন? কি ভাবে টিকিট কাটবেন যাত্রীরা? ভারতে আনুমানিক ৭৩৪৯ টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে এটাই একমাত্র স্টেশন যার আজ পর্যন্ত নাম করণ করা হয়নি সরকারি ভাবে।

নামহীন এই রেলওয়ে স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের, বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। বর্ধমান সদর জেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে রায়না নামক একটি গ্রামে এই স্টেশনটি। ২০০৮ সালে ভারতীয় রেল এই গ্রামে রেলস্টেশনটি তৈরি করে। দুর্ভাগ্য বসত আজও স্টেশনটি নামহীন।
ভাবার বিষয় ভারতীয় রেল কেন নাম রাখলো না এই স্টেশনটির?

স্টেশনটি নিয়ে রায়না এবং রায়নগর গ্রামের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।গ্রামবাসীরা জোর দিয়েছিল স্টেশনটি রায়না নামে করার জন্য, স্টেশনটি যেহেতু রায়না গ্রামে। তাই স্টেশনটির নামও হওয়া উচিত ‘রায়না স্টেশন’। এই মতবিরোধের কারণে আজ পর্যন্ত স্টেশনটির নামকরণ করা যায়নি। বাঁকুড়া-মাসাগ্রাম নামে একটি ট্রেন স্টেশনে দিনে ৬ বার থামে। যে কোন যাত্রী প্রথম বার এই স্টেশনে আসলে প্লাটফর্মের নামহীন বোর্ডটি দেখে সত্যিই অবাক হন। বর্ধমান অঞ্চলের প্রায় সব টিকিট কাউন্টারের লোকেরা অনামি স্টেশনকে ভালো ভাবেই চেনে।