বলিউডের নামকরা কুখ্যাত ভিলেন যাদের নামে কেঁপে উঠতো দর্শকেরা পর্যন্ত, জীবনের শেষ সময় ঘটেছিল মর্মান্তিক মৃত্যু

বলিউডের ৮০ এবং ৯০ দশকের ভিলেনদের অভিনয় দেখলে দর্শকরাও পর্যন্ত ভয় পেয়ে যেত। মোগম্ব থেকে শুরু করে শাসকাল ও বিল্লা বা অন্য যেকোনো চরিত্রেই এইসব অভিনেতারা এমন সব অভিনয় করত, তাঁদের নাম শুনলেই মানুষ কেঁপে উঠতো। আজ আপনাদের বলিউডের সেই সব ভিলেনের কথা বলব, যারা রিয়েল লাইফেও ভয়ের আরেক নাম হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাঁদের এমনই মৃত্যু হয়েছিল যা শুনলেও আপনারও মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে। কারোর গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় বা কারোর লাশ ঘরে পচে গিয়ে।

রামি রেড্ডি – হিন্দি সিনেমার ৯০ দশকের অনেক ছবিতে তাঁকে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যেত। বাস্তব জীবনেও তাঁকে মানুষ খুবই ভয় পেত। চলচ্চিত্র পর্দায় ভয়তো পেতোই। তিনি ২০০ টির বেশি চলচ্চিত্র করেছেন। কিন্তু এক মারণ রোগ তাঁর সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। তাঁর ক্যান্সার হয়েছিল। তিনি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। একসময় তাকে হাড়ের কাঠামো দিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি ১৪ই এপ্রিল ২০১১সালে মারা যান।

মানিক ইরানি – জ্যাকি শ্রফের ‘হিরো’ ছবির ভিলেন মানিক ইরানিকে তো সবার মনে আছে। তিনি ‘বিল্লা’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি সে সময় শক্তিশালী ভিলেনদের মধ্যে একজন ছিলেন অভিনয় জগতে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক হয়েছিল। যদিও সঠিক মৃত্যুর কারণ আজও অজানা সবার কাছে। কিন্তু শোনা যায় তিনি মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

মহেশ আনন্দ – হিন্দি সিনেমার ভয়ঙ্কর ভিলেন বলা হতো মহেশ আনন্দকে। তিনি বাস্তবে অত্যন্ত প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি একজন শক্তিশালী অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি একজন আশ্চর্যজনক নৃত্য শিল্পী এবং মার্শাল আর্টিস্ট ছিলেন। নৃত্য শিল্পের ভূমিকা থেকেই তিনি হিন্দি ছবিতে পা রাখেন। কিন্তু হঠাৎ ২০১৯ সালে মহেশ আনন্দকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৫৭ বছর বয়স। পুলিশ জানিয়েছিলেন তিনি কয়েক বছর ধরে একা থাকতেন এবং বেকার ছিলেন। তাঁর লাশ দুইদিন ঘরে পড়েছিল এবং সেটি পচতে শুরু করেছিল। তাঁর মৃত দেহের কাছে আধা বোতল মদ ছিল। তাঁর ঘরের টিভিটিও চালু ছিল।