অফিসে থাকাকালীন DSP মেয়েকে সেলুট করেন SI বাবা, ঘরে এসেই খান মেয়ের হাতের খাবার

সফলতা পাওয়া একটা বড় গর্ভের ব্যাপার নিজের ও পরিবারের কাছেও। নিজেকে উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে প্রত্যেকেরই সন্মান ও কদর দুই বেড়ে যায়। সন্তান সাফল্য পেলে বাবা-মারও গর্ভে এবং আনন্দে বুক ভোরে ওঠে। আজকের বিষয়টাও ঠিক তেমন গর্বিত বাবা-মেয়ের।

মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার মাঝৌলি থানার সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফ আলি যখন তার ডি এস পি মেয়ে “শাবিরার” সাথে দেখা করেন, তখনের মুহূর্তটা সত্যিই কতটা গর্ভের তা এক জন বাবা অনুভব করতে পারেন। আনসারী যে থানায় কর্মরত ঠিক সেই থানাতেই পোস্টিং তার ডি এস পি মেয়ে শাবিরার। সিনিয়ার পোস্ট হওয়ার জন্য বাবাকে স্যালুট করতে হল মেয়েকে। একজন পিতার কাছে এটা অনেক আনন্দ ও গর্ভের ব্যাপার।

শাবিরার নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে সে এই পদটি অর্জন করেছে। পি এস সির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শাবিরা ২০১৬ সালে সাফল্য পান এবং ২০১৮ সালে ডি এস পি পদে নির্বাচিত হন। আশরাফ আলী মূলত উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বাসিন্দা যিনি মধ্যপ্রদেশে কাজ করেন। আশরাফ তার মেয়ের জন্য গর্বিত। আশরাফের জন্য এটি একটি খুব আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। যখন তিনি তার মেয়েকে স্যালুট করেন।

মেয়ে হয়েও আজ কোন অংশে কম নন শাবিরা, পুরুষদের মতোই নিজেকে যোগ্য জায়গায় স্থাপন করে সন্মান বাড়িয়েছে বাবার ও পরিবারের। গর্ভে কন্যা ভ্রূণ হত্যা সমাজের একটি জ্বলন্ত সমস্যা। আর ভ্রূণ হত্যা ধারণার চিন্তা ধারী ব্যাক্তিদের কাছে জীবন্ত প্রমান। একটা পূর্ণাঙ্গ পরিবারের জন্য কন্যাও প্রয়োজন। আজকের দিনে মেয়েরাও কোনো অংশে কম না তার প্রমান স্বরূপ শাবিরা ও তার মতো অনেক উদহারণ রয়েছে আমাদের চারপাশে। বর্তমানে সকল নারীদেরও শিক্ষিত হওয়া খুবই জরুরী। সমাজে ছড়িয়ে থাকা কিছু অপশক্তিকেও নির্মূল করার জন্য।