ছেলে কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রী হলেও মা বাবার নেই বিন্দুমাত্র অহংকার, আজও করেন চাষবাস

অনেক মানুষেরই অনেক কিছু থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সাধারণ জীবন যাপন করতে বেশি পছন্দ করেন। তাঁরা বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত নন। তারা সারা জীবনী সরল সাদাসিধে জীবনযাপন করতে বেশি পছন্দ করেন। আজ এমন একটা ব্যক্তির কথা বলব, যিনি হলেন আর কেউ নন, দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এল.কে.মুরগান। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বাবা-মা সাধারণ জীবন যাপন করছেন এখন অব্দি। তাঁদের ছেলে এত উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরেও তাঁরা সরল সাদাসিধে জীবন যাপন করতে বেশি পছন্দ করেন।

ছেলে মন্ত্রী হলেও বাবা মার কোন অহংকার নেই:
মুরগানের জন্ম হয় তামিলনাড়ুর নামক্কাল কোনপুর নামক একটি ছোট গ্রামে। তাঁর পিতার নামঃ লোগান নাথান। তাঁর বর্তমান বয়স ৬৮ বছর। তাঁর মায়ের নাম হল এল.কে.ভারদামল। তাঁর বয়স হলো ৫৯ বছর। তাঁরা খুবই সাধারণ জীবন-যাপন করেন। তাঁরা এখনো দুবেলা দুটি রুটি জন্য কৃষি কাজ করে চলেছেন। অথচ তাঁর ছেলে মন্ত্রী হয়ে সারা পৃথিবীর কাছে নিজের পরিচয় আলোকিত করেছেন। এল.মুরগান হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের পশুপালন, মৎস্য বিভাগ এবং তথ্য বিভাগের মন্ত্রী। সমস্ত কাজই তিনি নিজের হাতে দেখেন।

বাবা ছেলের পরিশ্রমের কৃতিত্ব চান না:
মুরগানের বাবা-মা বিশ্বাস করেন, তাঁদের ছেলে যা কিছু অর্জন করেছে তাঁর নিজের কঠোর পরিশ্রমের এবং অভিজ্ঞতার জোরে। তাই তাঁরা সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। তাঁর বাবা এটাও মনে করেন, মুরগান আজ যে জায়গায় পৌঁছেছেন, তাতে মা -বাবার প্রশংসা যথেষ্টই কম। তিনি তাঁর গ্রামের বাড়িতে তাঁর ছোট ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে থাকেন। আজও মুরগানের বাবা-মা প্রখর রোদে বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় প্রতিদিনের মতোই মাঠে কাজ করতে যান।

তাঁরা যখন শহরে যান:
মুরগানের বাবা-মা যখন ছেলের সাথে দেখা করতে যান চেন্নাই শহরে। তখনই সেখানে দু’চারদিনের বেশি থাকেন না। কারণ তাঁরা গ্রাম পছন্দ করেন। মুরগানও নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি। নিজে কিভাবে সফলতা পেয়েছেন সেটাও তিনি ভুলে যাননি। তাই তিনিও বাবা মার মতো সাধারণ জীবন যাপন করতে বেশি পছন্দ করেন।