ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন পেয়ারার অর্গানিক চাষ, আজ আয় করছেন স্যালারির ৪ গুন টাকা

করোনা আবহে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মচ্যুত হন তাদের গ্রামে ফিরে অন্য কর্মে নিযুক্ত হন। ঠিক এরকমই একটা গল্প হচ্ছে হরিয়ানার সোনিপতের শাহজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা কপিলের। কপিল পেশায় একজন ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন করোনা আবহে তার ট্রান্সফার সোনিপত থেকে গুজরাটের হয়ে যায়। এইমতবস্থায় তিনি গুজরাট যাওয়ার পরিবর্তে তিনি সোনিপতে থেকে জৈব পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষকে জীবিকা হিসেবে বেছে নেন।

বর্তমানে তিনি তার চাকরিতে প্রাপ্ত বেতনর থেকে চার গুণ টাকা আয় করেন। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে কপিলের বাগানে আট জাতের পেয়ারা উৎপন্ন হয়। এই পেয়ারার গুনাগুন ও মান তাইওয়ানের পেয়ারা কেও হার মানায়। এই পেয়ারা এতটাই ভালো যে তাকে নিজে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হয় না উল্টো বিক্রেতারা নিজেরাই এসে তার কাছ থেকে পেয়ারা নিয়ে যান।

প্রতিবেদনে কপিল জানান যে চাকরি ছেড়ে পেয়ারা চাষ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু তিনি হার মানেননি। ফলশ্রুতি, তিনি এখন মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এখন বর্তমানে অনেক তরুণ তার কাছ থেকে পেয়ারা চাষের টিপস নিয়ে যান। তিনি পেয়ারা চাষের পাশাপাশি তার বাগানের লেবু চাষ করেন।

মানুষের ঝোঁক অর্গানিক চাষের ফসলে

জানিয়ে দি, এখন মানুষজন অর্গানিক চাষের ফসলের প্রতি ঝুঁক বাড়িয়েছে। কারণ অর্গানিক চাষে উৎপন্ন ফলসে রাসায়নিক ব্যাবহার না হওয়ায় তা অনেক বেশি পুষ্টিকর। এই কারণে এই ফসলে লাভের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু তিনি সবজি বাজারের বিক্রি না করে তা দিয়ে আচার তৈরি করেন। লক্ষণীয় এটাই যে বর্তমানে অনেক যুবকই জৈব পদ্ধতিতে চাষের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন এবং লাভবান হচ্ছেন।