চিনে নিন মুকেশ আম্বানির চাণক্যকে, চুটকি মেরে করেন বড়ো বড়ো ডিল কনফার্ম

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। করোনা আবহে যখন সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন ; তখনও কিন্তু জিও প্ল্যাটফর্ম ছিল সবচেয়ে উপরে। আসলে, মুকেশ আম্বানি ব্যবসায়ী এতই দক্ষ যে তিনি খুব সহজেই যে কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি সফল করে নিতে পারেন। বর্তমানে রিলায়েন্স কোম্পানির এত শক্তিশালী হওয়ার পেছনে যে শুধুমাত্র মুকেশ আম্বানির হাত রয়েছে তাই নয় ; এর সাথে রয়েছে তার ডান হাত মনোজ মোদী।

 

করোনা কালে ফেসবুক সহ বড়ো বড়ো আটটি কোম্পানি জিও প্লাটফর্মে তাদের বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সময় তারা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করেন 97885.65 কোটি টাকায়। জিও প্ল্যাটফর্মের এত উন্নতির পেছনে রয়েছে মুকেশ আম্বানির চাণক্য মনোজ মোদি। চাণক্য যেমন চন্দ্রগুপ্তকে মৌর্যকে শালী ও মহান রাজা তে পরিণত করেন ; ঠিক সেরকমই তিনিও মুকেশ আম্বানিকে অনেক উপরে নিয়ে যান।

গুজরাটের এই বাসিন্দা মনোজ মোদী 2007 সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে যোগদান করেন এবং তিনি এই কোম্পানির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন। রিলায়েন্স শীর্ষে থেকে তার ভূমিকা কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য তাকে মুকেশ আম্বানির ডানহাত বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে তিনি রিলায়েন্স জিওর হাজিরা পেট্রো-কেমিক্যালস , জামনগর রিফাইনারি , রিলায়েন্স রিটেল এবং রিলায়েন্স জিও পরিচালনায় নিযুক্ত আছেন এবং তিনি তার কর্তব্য-কর্মে কখনোই মুকেশ আম্বানিকে হতাশ করেননি।

বড়ো বড়ো কোম্পানির চুক্তি তিনি তার দৃঢ়তা, মানসিক স্থিরতা ও অভিজ্ঞতার জোরে সফল করেছেন এবং মুকেশ আম্বানি তাকে ধন্যবাদ জানান। তার এই অবদানের জন্য তিনি মুকেশ আম্বানির কাছের মানুষ এবং তার বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। সূত্র থেকে জানা যায় যে মুকেশ আম্বানি এবং মনোজ মোদী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সহপাঠী ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় ছিল।

এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস অটুট আছে । সেই কারণেই মুকেশ আম্বানি অনেক বড়ো বড়ো কোম্পানির অনেক ব্যাবসায়িক চুক্তি শুধুমাত্র মনোজ মোদির ভরসায় ছেড়ে দেন। রিলায়েন্সর মত এত বড়ো কোম্পানির অনেক বড়ো বড়ো চুক্তি করা সত্ত্বেও তিনি কখনোই গণমাধ্যমে আলোচিত হননি।

তার কারণটা হচ্ছে তিনি সবসময় পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করতে ভালোবাসেন এবং তিনি তা নিয়ে কোনো পাবলিসিটি বা প্রচার পছন্দ করেন না। কম লোকই তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানেন। এমনকি এটাও শোনা যায় যে মুকেশ আম্বানির ছেলেরা তার কাছে থেকেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাই আজ তারাও সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছে।