বাঁশের চাষ করে এখন আপনিও রোজগার করতে পারবেন মোটা টাকা, সরকারও করবে সাহায্য,জানুন গোটা পদ্ধতি

আমাদের দেশে ধান, গম ও আখের মতো ঐতিহ্যবাহী চাষবাস ব্যাপক হারে করা হয়ে থাকে। যা প্রস্তুত হতে অনেক সময় লাগে। কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ ছাড়াও অন্যান্য ধরনের ফসল ফলাতে পারেন। যাতে কম বেশি পরিশ্রম হয় এবং লাভের পরিমানও ভালো পাওয়া যায়।

এই লাভজনক ফসল চাষের মধ্যে বাঁশের নামও অন্তর্ভুক্ত আছে। যে জমিতে একবার বাঁশ চাষ করা হয় সেখানে অনেক বছর যাবত ফসল তৈরি হতে থাকে। শুধু তাই নয় এই বাঁশ চাষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে। যা কৃষকদের ফসল ফলনের জন্য ভালো মুনাফা অর্জনে সহায়তা করে। আপনি ও যদি একজন কৃষক হন,এবং ঐতিহ্যবাহী চাষবাস করে থাকেন, আর ব্যাবসায় লাভবান হতে চান তাহলে বাঁশ চাষ করা খুবই উপযুক্ত হতে পারে। বাঁশ চাষের জন্য সরকার অনেক জাতীয় বাঁশ মিশন শুরু করেছে। যার ফলে কৃষকদের বাঁশের ফসল ফলানোর জন্য সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আপনিও যদি ১ হেক্টর জমিতে বাঁশ চাষ করেন, তবে এই চাষের ক্ষেত্রে আপনি বার্ষিক ৩ থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। বাঁশের প্রথম ফসল তৈরি হতে প্রায় ৩ বছর সময় লাগে, ফলে কৃষকরা দ্বিতীয় ফসল ফলানোর জন্য যথেষ্ট সময় পেয়ে যান।বাঁশ চাষ করতে, আপনাকে এর গাছ কিনতে হবে, যার দাম প্রতি গাছ পিছু ২৫০ টাকা। কৃষকরা প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ১৫০০ বাঁশের চারা রোপণ করতে পারেন। ফসল প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে এবং সরকার অর্ধেক খরচ বহন করবে।

যাইহোক, একবার বাঁশের চারা রোপণ করা হলে, কৃষকরা পরবর্তী ৪০ বছরের জন্য এটি থেকে একটি বিশাল ফসল পেতে পারেন। কারণ এই ফসলটি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় কৃষক যদি ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সে বাঁশ চাষ শুরু করেন, তাহলে ৬৫ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

বর্তমানে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই বাঁশের চাহিদা বেড়েছে, যার কারণে কৃষকরা বাঁশ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। আসলে বাঁশের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির জিনিসপত্র তৈরি করা হয়, যার কারণে বাঁশের বাজার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে।