মানবিক: ২৫ কিলো আটার রুটি বানিয়ে ৩০০ এর বেশি কুকুরকে প্রতিদিন খাবার দেয় এই পরিবার

মহাপুরুষের স্মরণীয় বাণী “জীবে প্রেম করে যেজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর”। কথায় বলে, ঈশ্বর জীব বা প্রাণীদের মধ্যেই অবস্থান করেন। তাদের সেবা করলে অনেক পুণ্যি লাভ হয়ে থাকে। কোন ক্ষুদার্থ প্রাণীকে খাবার বা জল খাওয়ালে পূর্ণ লাভ হয় বলেই শোনা যায়। পৃথিবীতে বসবাসকারী সকল মানুষই কোন না কোন বিষয়ে একটু হলেও অসুখী। দুঃখ মানব জীবনের একটা অঙ্গ।

শাস্ত্র মতে ভগবান ভৈরবের যাত্রায় ছিল শুধু একটি “কুকুর”। তাই কুকুরকে খুশি করলে ভগবান ভৈরবও খুশি হন বলে মনে করা হয়। যদি কখনো একটি কুকুর আপনার বাড়ির আশেপাশে থাকে বা দরজায় ঘোরাফেরা করে, তবে তাকে কখনই খালি পেটে যেতে দেওয়া উচিত না। কুকুরকে শুধুমাত্র একটা রুটি খাওয়ালেও ব্যাক্তি জীবনে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে জানা যায়।

শাস্ত্রবিদদের মতে, কুকুরকে রুটি খাওয়ালে শত্রুতার ভয় অনেকটাই দূর হয়। যদি একটি কালো কুকুর পাওয়া না যায়, তাহলে যে কোনো কুকুরকে খাওয়ানো যেতে পারে। কুকুরকে রুটি খাওয়ালে বাড়িতে প্রতিদিনের কলহ প্রশমিত করে এবং সুখ ফিরিয়ে আনে। আলোচনায় রয়েছে এমন একটি পরিবার, যারা কুকুর ও অন্য ক্ষুদার্থ পশুদের পেট ভরে খাবার খাওয়ান।

কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ টি রুটি তৈরি করেন এই পরিবার। ২৫-৩০ কেজি ময়দার রুটি বানানো হয় ক্ষুধার্ত পশুদের খাওয়ানোর জন্য। খাওয়ানোর জন্য চরনের পরিবার প্রতি মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করেন বলে জানা যায়। “যশরাজ চরণ” বন বিভাগে গত ৩৭ বছর ধরে বন প্রহরী এবং বনবিদ হিসাবে কাজ করেছিলেন। তার ছোট ছেলেটিও বন বিভাগে কর্মরত।

যশরাজ অফিস থেকে আসার পর প্রতিদিন রাস্তায় হাঁটতে যেতেন। একদিন দেখলেন মা সহ কুকুরের ছোট বাচ্চাদের খুব করুণ অবস্থা। সেদিন সে তার স্ত্রীকে তিন-চারটি রুটি বানিয়ে দিতে বলেছিলেন। ধীরে ধীরে কুকুরের সংখ্যা বাড়তে থাকে, প্রথমে চারটি তারপর ১০ টি এবং আজ এই প্রক্রিয়াটি বেড়ে ২৫০ – ৩০০ টি রুটিতে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চারনের পরিবার বনের ছোট প্রাণীদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করেছেন, এর জন্য প্রতি মাসে আনুমানিক ৫ হাজার বিস্কুট ক্রয় করেন।