রাত্রি দুটোয় মারা গিয়েছিল বাবা, কষ্ট বুকে চেপে তারপরের দিনই মাঠে তুলেছিলেন রানের ঝড়! বিরাট কোহলি স্বরূপ কোহিনুর পেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট জগত

সমীক্ষা বলছে, প্রায় প্রত্যেক সফল ব্যক্তির অতীতের ইতিহাসটা কঠোর ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। সফল জীবনের পেছনে একটা সংগ্রামী জীবন অবশ্যই লক্ষ্য করা যায় প্রায় সময়। এর অন্যথা হয়নি “বিরাট” এর ক্ষেত্রেও। ১৩ বছর আগে ডাম্বুলায় ২০ বছর বয়সে “বিরাট কোহলি” ভারতের হয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী এই খেলোয়াড় এমন রেকর্ড গড়বেন যা অন্য কেউ করতে পারেনি এত অল্প সময়ে।

বিরাট কোহলি তৈরি অনেক রেকর্ডের রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। কিন্তু তারকা হওয়ার যাত্রায় তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। যাইহোক, ক্রিকেটের প্রতি তার আবেগ এবং সংকল্প এমন ছিল যে তিনি সফলভাবে সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন। কোহলির বয়স যখন ৮ বছর তখন তার পরিবার আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

তার আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, তার বাবা ও মায়ের নির্দেশে তাকে ক্রিকেট একাডেমির সাথে সংযুক্ত রেখেছিলেন। কোহলি দেখতে পেয়েছিলেন তার বাবা-মা কীভাবে লড়াই করছেন পরিস্থিতির সাথে। ৮ ডিসেম্বর ২০০৬-এ বিরাট কোহলির বাবার মৃত্যুর পর, বিরাট মন থেকে (ভিতরে) ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তখন তার মা-ই ছিল সবচেয়ে বড় শক্তি বিরাটের।

শত কষ্ট হলেও বিরাটের মা তাকে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত রেখেছিলেন। যেদিন বিরাট কোহলির বাবা মারা যান, তার পরের দিনই ক্রিকেট খেলতে যেতে হয়েছিল বিরাট কোহলিকে। বিরাট কোহলি পরের দিন খেলতে না চাইলেও মায়ের পরামর্শে কোচকে ডেকে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি ৯০ রান করেন এবং ম্যাচ শেষ করার পর “বাবার” শেষকৃত্যে যোগ দেন।

বিরাট কোহলি তার মায়ের সংগ্রাম এবং তার চোখের জল দেখে খুব দ্রুত পরিপক্ক হয়েছিলেন। বড় হওয়ার সাথে সাথে বিরাট প্রতিটি ম্যাচকে খুব সিরিয়াসলি নিতে শুরু করেছিলেন। বিরাট কোহলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা করে নিতে চেয়েছিলেন এবং সেই কারণেই বিরাট কোহলি যখন খেলরত্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তখন তার মাও সাথে ছিলেন।