ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছেই হটাৎ মৃত্যু, এখনো পর্যন্ত সমাধান হয়নি এই বলি তারকাদের মৃত্যু রহস্য

জীবনের উপর ভরসা করা হয়তো ভিশন কঠিন। মৃত্যু যখন জীবনের দোর গোড়ায় এসে পৌঁছায় তখন মানুষের কিছুই করার থাকে না। ঠিক সেইরকমই বলিউডের কিছু তারকারা যারা তাদের ক্যারিয়ারের মাঝ পথেই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন। এমনকি আজ পর্যন্ত এই তারকাদের মৃত্যু রহস্যের সমাধান করা যায়নি। এইসব তারকাদের মধ্যে সবার প্রথমে নাম আসে দিব্যা ভারতীর, যিনি অল্প বয়সে সাফল্যের স্বাদ পান।

দিব্যা ভারতী

কিন্তু ৫ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে পঞ্চম তলা থেকে পড়ে মারা যান তিনি। এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু এই রহস্য আজ পর্যন্ত সমাধান করা যায়নি। এর পরেই নাম আসে গজিনির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিয়া খানের। তার অ্যাপার্টমেন্টে তাকে ৩ জুন, ২০১৩-এ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যদিও এটি সত্যিই আত্মহত্যা কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হোটেলে শ্রীদেবী মারা যান। এর আগে তার মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যাটাক বলা হয়েছিল। কিন্তু তখন ফরেনসিক রিপোর্টে বলা হয়, এটি দুর্ঘটনাবশত ডুবে যাওয়া। সত্য এখনও পরিষ্কার নয় এই মৃত্যুর আসল কারন। পারভীন ববি যিনি ৮০-র দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন, নিজের অভিনয় দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

২০ জানুয়ারী ২০০৫ সালে মারা যান তিনি। কিন্তু তার মারা যাওয়ার দুদিন পর তা যানা যায়। দুদিন ধরে ফ্ল্যাটে থাকার ফলে পচন ধরে তার দেহে। তার মৃত্যুর কারনও আজ পর্যন্ত যানা যায় নি। ৫৭ বছর বয়সী মহেশ আনন্দ, যিনি হিন্দি ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করতেন, তার বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ যখন তার বাড়িতে পৌঁছায় তখন তারা দেখেন টিভি চালু, খাবারের প্লেট এবং মদের বোতলও পাশে ছিল। ১৯৬৪ সালে, গুরু দত্ত পৃথিবীকে বিদায় জানান।

পারভিন ববি

মৃত্যুর কারণ বলা হয়েছিল তামাক এবং অ্যালকোহলের অতিরিক্ত মাত্রায় শেবন। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা স্পষ্ট নয়। সিল্ক স্মিতাকে ১৯৯৩ সালে চেন্নাইয়ে তার বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। কেন সে আত্মহত্যা করেছে তা কেউ জানে না। কেউ কেউ বলে যে তিনি একাকীত্বের কারণে অ্যালকোহল এবং ড্রাগের খপ্পরে পড়েছিলেন যার ফলে এই মৃত্যু।

মহেশ আনন্দ