রেজাল্টে এসেছিল ১ নাম্বার কম, বোর্ডের বিরুদ্ধে গিয়েছিল কোর্টে, ৩ বছর পর বাড়ল ২৮ নাম্বার

বোর্ড পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর নানা সময় নানা গোলযোগ গন্ডগোলের খবর শুনতে পাওয়া যায়। এমন কিছু ছাত্র আছে যারা আশানুরূপ ফল না পেয়েও বাড়িতে চুপচাপ বসে থাকে কিংবা রিভিউ দিলেও যদি নাম্বার বাড়ে তো ঠিক আছে নাম্বার কমলেও তারা কোনো রকম কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

কিন্তু আজকে এরকমই একটা ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার কবীর মন্দিরের কাছে পারকোটার বাসিন্দা হেমন্ত শুক্লার ছেলে শান্তনু শুক্লা। তিন বছর আগে মধ্যপ্রদেশ বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল। সে তার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে সে অনুমান করেছিলো সে 75% থেকে 80% নাম্বার পাবে।

কিন্তু সে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় সে মাত্র 74.8 % নাম্বার পেয়েছে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে সে মুখ্যমন্ত্রী মেধাবী ছাত্র যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়। এটি তাকে খুব আঘাত করে। এরপর সে রিভিও এর আবেদন জানায় এবং এক নম্বরের জন্য তিন বছর ধরে সে মামলা করে। সে মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

এই তিন বছরে তার কেসের 44 বার শুনানি হয়েছে এবং তার এক নম্বর বাড়ার জন্য 15000 টাকা খরচা হয়েছে। করোনা আবহের জন্য হাইকোর্টে শুনানি বন্ধ ছিল। এছাড়া হাইকোর্ট পর্ষদকে 6 বার নোটিস পাঠালেও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। 2018 সাল থেকে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আবার যাতে তার পরীক্ষার খাতাটি চেকিং হয়।

কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তার পরীক্ষা পত্রটি পুনঃপরীক্ষিত হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর 1 বা 2 নাম্বার নয় 28 নাম্বার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সে 80. 4 শতাংশ নাম্বার পেয়েছে। সান্তনু বলেছে সে আবার মুখ্যমন্ত্রী মেধাবী ছাত্র যোজনা জন্য আবেদন করবে। সাথে এটাও বলে যে মানুষ যদি চায় নিজেদের জেদ দিয়ে সবকিছুই করতে পারে। যেসব ছাত্ররা তাদের কাঙ্ক্ষিত নাম্বার থেকে কম নাম্বার পেয়েও চুপ করে বসে থাকে তাদের কাছে শান্তনু এক নতুন অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে।