সাউথের এই ৫ অভিনেতা যারা রিয়েল লাইফেও সুপারস্টার, কেউ দত্তক নিয়েছেন গ্রাম, কেউ বাঁচিয়েছেন জীবন

দক্ষিণ সিনেমা দেখার প্রবণতা দিন দিন দেশের মানুষের মধ্যে বাড়ছে। তার সাথে দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীর সম্বন্ধে ব্যক্তিগত এবং ক্যারিয়ার জীবন নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে সবার মধ্যে। কিন্তু আপনার হয়তো এটা জানা নেই, সাউথ ইন্ডিয়ান অনেক বড় অভিনেতারা রিলের পাশাপাশি রিয়েল লাইফেও সুপারস্টার। কেন তাদের সুপারস্টার বলা হচ্ছে, আসুন জেনে নিন।

১. নাগার্জুন – দক্ষিণ সিনেমার আইকনিক অভিনেতা বলা হয়ে থাকে নাগার্জুনকে। তিনি তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভক্তদের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তিনি হায়দ্রাবাদ ওয়ারবঙ্গল হাইওয়েতে উৎপল মেডিপল এলাকায় চেঙ্গিচেলা বন ব্লকে ১০৮০ একর বনভূমির নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বনের উন্নয়নের জন্য ২ কোটি টাকা দান করেছেন।

২. বিশাল – দক্ষিণী ভারতীয় ছবি হিন্দি ডাবিং করে থাকেন অভিনেতা বিশাল। তিনি যেমন আশ্চর্যজনক কাজ করেন, তেমনই তার স্বভাব খুব স-হৃদয়ের। তিনি প্রয়াত অভিনেতা পুনীত রাজকুমারের গোশালা, অনাথ আশ্রম এবং ১৮০০ শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন। অভিনেতার পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুর পর তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখা দিতে শুরু করেছিল। সেই সময় অভিনেতা বিশাল তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন।

৩. মহেশ বাবু – সাউথ সিনেমা সবচেয়ে স্মার্ট অভিনেতা হিসেবে বলা হয়ে থাকে মহেশ বাবুকে। তিনি অন্ধপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা দুটি গ্রামের গরিব মানুষদের দত্তক নিয়েছেন।

৪. আল্লু অর্জুন – ‘পুষ্পা দ্য রাইজ’ ছবির পর আল্লু অর্জুনের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে গিয়েছে। তবে তিনি একজন মহান মনের মানুষ। তিনি তাঁর জন্মদিনে অন্যান্য তারকাদের মতো পার্টি না করে, মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুদের সাথে সময় কাটান এবং রক্ত দান করে থাকেন।

৫. পুনিত রাজকুমার – এই মহান অভিনেতা আজ পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলেও মানুষের হৃদয়ে তিনি একটা জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি জীবিত অবস্থায় ১৮০০ দরিদ্র শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি করোনার সময় ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।