সোমনাথ মালি (Somnath Mali) হলেন মহারাষ্ট্রের প্রথম ছাত্র যিনি ইসরো (ISRO)-তে বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা শুধু রাজ্য ও তাঁর পরিবারের জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্য গর্বের একটি বিষয়। ছেলের এই বড় সাফল্যে তার বাবা-মা খুবই খুশি। ২ জুন, তিনি কেরালার তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হন।
বঞ্চনার মধ্যে বেড়ে ওঠা সোমনাথের পক্ষে এত বড় অর্জন সহজ ছিল না। জেনে নেওয়া যাক সাফল্যের পথে তাঁর সংগ্রামের গল্প। সোমনাথ মালি মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার পান্ধরপুর তহসিলে অবস্থিত সারকোলি গ্রামের একজন বাসিন্দা। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তবুও তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করে প্রমাণ করেছেন যে সাফল্য পেতে গেলে পরিশ্রম করতে হয়।
তার বাবা-মা তাকে শিক্ষিত করার জন্য শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। নিজের গ্রামে স্কুলে পড়া থেকে শুরু করে ইসরো (ISRO)-তে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার জন্য তাঁর যাত্রা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তিনি জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন এবং তাঁর পিতামাতার সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে পড়াশোনা করেছেন।
সোমনাথ জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করেন এবং তারপর তার নিজের গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয় থেকে ১০ম শ্রেণী সম্পন্ন করেন। তারপর আরও পড়াশোনার জন্য পন্ধরপুরের কেবিপি কলেজে ভর্তি হন। তিনি গেট (GATE) পরীক্ষায় ৯১৬ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। যার কারণে তিনি আইআইটি দিল্লিতে মেকানিক্যাল ডিজাইনার হিসাবে নির্বাচিত হন।
সোমনাথ বলেছেন যে ২০১৬ সালে, তিনি ইসরো-তে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই সময়ে তিনি ইসরো-এর লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। তারপরে ২০১৯ সালে, তিনি আবার তার এমটেক ডিগ্রির ভিত্তিতে ইসরো-তে আবেদন করেছিলেন।
বর্তমানে তিনি দিল্লি আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ডিজাইন করছেন।
আইআইটি-তে পড়ার সময় তিনি প্লেনের ইঞ্জিনের নকশা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান। তার ভাল কাজের জন্য, ২শে জুন, তিনি ইসরো-তে একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে নির্বাচিত হন। সোমনাথের কঠোর পরিশ্রম প্রশংসনীয়, আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।