বেসরকারি কাজ ছেড়ে করছেন কেঁচো সার তৈরি, মাত্র ৩ মাসেই আয় কয়েক লক্ষ টাকা

নিরক্ষরদের জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলো কৃষিকাজ— সমাজে বহুল প্রচলিত এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে দেখা গেল জব্বলপুর এর হৃদেশ রায় নামক এক ব্যক্তিকে। জব্বলপুরের এই ব্যক্তি আইটি কোম্পানি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘কেচুয়া অর্গানিক’ নামে নিজের একটা কোম্পানি তৈরি করেন। যেখানে তিনি জৈব সার তৈরির পাশাপাশি কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য উৎপন্ন করেন এবং সেগুলো হোম ডেলিভারিও পর্যন্ত দেন।

তাছাড়া তিনি কিচেন গার্ডেন থেকে শুরু করে, সবজি চাষ সমস্ত কিছুতেই জৈব পদ্ধতির টিপস দিয়ে থাকেন। হৃদেশ রায় বলেছেন করোনা আবহে যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন তখন তিনি বুঝতে পারেন যে—বিশ্বব্যাপী রোগব্যাধির মূল কারণ কোথাও না কোথাও খাবারের সাথে সম্পর্কিত; আমরা যদি সঠিক পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকব।

তাই তিনি আইটি কোম্পানির কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ির পাশে দেড় হাজার বর্গ ফুট খালি জমিতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। তিনি এটাও বলেন যে তাদের কিছু অর্গানিক এর মাধ্যমে উৎপন্ন সবজি বাজারের রাসায়নিক সার দ্বারা উৎপাদিত সবজির থেকে আলাদা। হঠাৎ তার জৈব অর্গানিকের প্রতি ঝোঁকটা বাড়তে থাকে এবং তিনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এবং তার বন্ধু অভিষেক বিশ্বকর্মা আড়াই হাজার একর জমিতে কৃষি কাজ শুরু করেন।

কিছু জৈব সারের মাধ্যমে কৃষি কাজ করার জন্য তারা মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র,ছত্তিশগড়ের কৃষকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং কৃষিকাজ করার জন্য সঠিক বীজ, বপন পদ্ধতি, ও জৈব কীটনাশক তারা যোগান দেন। তিনি বলেন যে এই পদ্ধতিতে 25 থেকে 100 একর পর্যন্ত খুব সহজে সবজি চাষ করা সম্ভব। তিনি জৈব রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃষকদেরকে সঠিকভাবে চাষাবাদ করার জন্য টিপস দেন এই পদ্ধতিতে তিনি এগারো কুইন্টাল মটর উৎপাদন করেছিলেন।

ইনকিউবেশন সেন্টার তাদের এই জৈব সংঘটিত এবং তাদের কিচেন গার্ডেনের এই অভিনব পদ্ধতি কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সাহায্য করেছে। এই অভিনব পদ্ধতি কে বিশ্বস্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেন্টার ম্যানেজার অগ্রাংসু দ্বিবেদী এবং স্টার্ট আপ কনসালটেন্সি শ্বেতা নামদেব তাদের জন্য আলাদা একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। কেঁচো অর্গানিক বর্তমানে 30 থেকে 35 জনের কর্মসংস্থানের সাথে সাথে একটা ছোট শহরকে সম্পূর্ণ জৈব সার সরবরাহে সক্ষম হয়েছে।