সেই ভারতীয়র কাহিনী- যিনি ১৯৮৪ সালে মহাকাশে গিয়ে গড়েছিলেন ইতিহাস, হয়েছিলেন দেশের প্রথম মহাকাশচারী

‘সারে জাহান সে আছা হিন্দুস্তান হামারা’ এটি শুনলে আজও গর্বে প্রতিটি ভারতীয়ের বুক ফুলে ওঠে। ১৯৮২ সালে, ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর এক প্রশ্নের জবাবে এই কথাগুলি বলেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী তার প্রশ্নে বলেছিলেন, “মহাকাশ থেকে ভারত দেখতে কেমন”? যার উত্তরে শর্মা বলেছিলেন, ‘আমি বিনা দ্বিধায় বলতে পারি যে ‘সারে জাহান সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা’। ১৩ জানুয়ারী, ১৯৪৯ সালে পাতিয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন, রাকেশ শর্মা এখনও মহাকাশে পা রাখা একমাত্র ভারতীয়। ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, ISRO তাকে মহাকাশে পাঠানোর জন্য বেছে নিয়েছিল।

২ এপ্রিল, রাকেশ শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইকানুর থেকে একটি সয়ুজ T-11 মহাকাশযানে উড়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিনি তার মহাকাশ যাত্রায় স্পেস স্টেশনে ৭ দিন, ২১ ঘন্টা এবং ৪০ মিনিট কাটিয়েছিলেন। এই সফরের মাধ্যমে, ভারত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে ১৪ তম দেশ হয়ে উঠেছে। এই মিশনে রাকেশ তার দুই সঙ্গীর সাথে ছিলেন এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।

মহাকাশে ৩৩টি পরীক্ষা করার পর, তিনি দক্ষতার সাথে ফিরে এসেছিলেন এবং ভারতকে গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেলেন। সফলভাবে ফিরে আসার পর, তিনি ভারত সরকার কর্তৃক অশোক চক্রে ভূষিত হন। একই সময়ে, সোভিয়েত সরকার তাকে ‘হিরো অফ সোভিয়েত ইউনিয়ন’ উপাধিতেও ভূষিত করে। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পরেও শর্মার দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ছিল।

তিনি চিফ টেস্ট পাইলট হিসেবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের দায়িত্ব পালন করেন। আজও, তিনি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার চেয়ে কিছু কম নন। অবসর নেওয়ার আগে, রাকেশ শর্মা ২০০১ সালে শেষ ফ্লাইট নিয়েছিলেন। তাঁর মহাকাশ যাত্রা দীর্ঘ ৩৭ বছর। এতদসত্ত্বেও তিনি দেশের জন্য হিরো হয়ে আছেন। রাকেশ শর্মা, যিনি আমাদের ভারতীয়দের সম্মান বাড়িয়েছেন, তিনি সত্যিই সম্মানের দাবিদার। তাদের অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত।