বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ, জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ জন, রাষ্ট্রপতির সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন হয় না

আজ এমন একটা দেশের কথা আপনাদের জানাবো, যেখানে রাষ্ট্রপতিকে একা রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। তাঁর সাথে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী থাকে না। আসলে এই দেশের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ জন। এই দেশের নাম মোলোসিয়া। এই দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় রয়েছে। এই দেশটি হল স্বঘোষিত। আসুন এই দেশের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জেনে নিন।

আসলে মোলোসিয়া দেশটি ১৯৭৭ সালে তৈরি হয়েছিল। এই দেশে বসবাসকারী দুই ব্যক্তি নতুনদেশ তৈরীর কথা ভেবেছিলেন। সেই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন হলেন কেভিন বাঘ এবং তাঁর বন্ধু। তাঁরা আমেরিকা থেকে আলাদা একটি নতুন দেশ বানালেন। কেভিনের বন্ধুরা মিলে এই দেশের ভিত্তিস্থাপন করলেন। তখন থেকেই কেভিন এদেশে রাষ্ট্রপতি। এই দেশটি স্বৈরশাসক হিসেবে ঘোষণা করেছেন কেভিন।

কেভিনের স্ত্রী দেশের প্রথম লেডির মর্যাদা পেয়েছেন। এই দেশে বসবাসকারী বেশিরভাগ নাগরিককে কেভিনের আত্মীয় বলেই মনে করা হয়। যদিও বিশ্বের অন্য কোন সরকার এই দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে অন্যান্য দেশের মতো এই দেশে দোকান, লাইব্রেরী ও শ্মশান সব কিছুই রয়েছে। তাছাড়াও এই দেশে নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। এর সাথে নিজস্ব আইন, ঐতিহ্য সব কিছুই আছে।

মেলোসিয়াকে পর্যটন কেন্দ্রও বলা হয়ে থাকে। প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটনক এখানে ঘুরতে আসে। এখানে পর্যটকদের যাওয়া আসার জন্য পাসপোর্ট এর স্ট্যাম্প নিতে হবে। এটা এখানকার সরকারের নিয়ম। কেভিন দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। এদেশের ভিত্তিস্থাপন ৮০ বছর পূর্ণ হয়েছে। প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে। এই দেশটিতে আসতে আমেরিকা থেকে মাত্র ২ ঘন্টা লাগে। দেশের বিভিন্ন ভবন ও রাস্তাতে পর্যটকদের সাথে দেখা যায় এদেশের রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ কেভিনকে।