শুধু উপোস করলেই চলবে না, মনস্কামনা পূরণ করতে পালন করতে হবে এই নিয়ম গুলি, তবেই মিলবে সুফল

এ বছরের শিবরাত্রি পড়েছে ১ই লা মার্চ। যে দিনটিতে পড়েছে, সেই দিনটিতে খুবই ভালো দিন মনে করা হয়, দিনটি হলো মঙ্গলবার। শিবরাত্রিতে উপোস করে থাকেন কম বেশি সবাই। শিবের পুজো করতে হয় ভোর থেকে উপস শুরু করে পরের দিন সকাল অবধি। কমবেশি অনেক মেয়ের ধারণা উপোস করলে, শিবের মত মত পাওয়া যায় অথবা সংসারে সারাবছর সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে থাকে।

তবে শিবরাত্রির উপোস করলে, কিছু কিছু নিয়ম বা আচার পালন করতে হয়। তবেই মহাদেব শিব সন্তুষ্ট হন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আপনাকে স্নান করতে হবে। তবে স্নানের জল যেন গরম হয়, তারপর ওই জলের মধ্যে তিল দিতে হবে। তারপর সেই জলটি দিয়ে আপনি স্নান করবেন। সারাদিনই আপনাকে উপস থাকতে হবে, তবে যারা নির্জলা উপস করতে পারেন না, তারা দুধ ও ফল খেতে পারেন।

শিব ঠাকুর সন্তুষ্ট থাকেন দুধ, জল, মধু, ফুল ও পাতা দিয়ে পূজো করলেই। তাই আপনার যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে অল্পের মধ্যেই ভগবান শিবকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন। তবে অবশ্যই বেলপাতা, আকুন্দ ফুল, কুমকুম এবং চন্দন লাগবে। পূজোর জন্য শিব ঠাকুরকে দুধ বা দিয়ে স্নান করানো হয়। তাঁকে ভাঙ দেওয়ায় যেতে পারে, এতে বলা হয়ে থাকে, তিনি নাকি খুব খুশি হন ভাঙ দিলে। ভগবান শিবের মন্ত্রটি হল ‘ঔ নম: শিবায়:’ এই মন্ত্রটি সারাদিন জব করতে হবে পুজোর সময় গুলোতে।

শিবলিঙ্গের পূজা হয় ৪ টি প্রহর নিয়ে। অর্থাৎ প্রথম প্রহরে আপনাকে শিবের মাথায় জল ঢালতে হবে। দ্বিতীয় প্রহরে আপনাকে দই দিয়ে ভগবান শিবকে পুজো করতে হবে, তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে পূজো করতে হবে এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে ভগবান শিবের অভিষেক করতে হবে। পুজো শেষ হয়ে গেলে যখন আরতির সময় আসবে, তখন শিবের ১০৮ বার নাম জপ করতে হবে। সূর্যাস্ত হয়ে গেলে কোন কিছু খাওয়া চলবে না। সারারাত জেগে থাকার পর ভক্তিগীতি গেয়ে পরের দিন ভোর বেলায় উপস ভাঙবেন, পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করে।