ভারতের প্রথম অটোমেটিক ইট মেকিং মেশিন, ১ ঘন্টায় তৈরি হচ্ছে ১২ হাজার ইট, বাড়ছে চাহিদা

আধুনিক ভারত আজ প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে। স্বল্প সময়ে ও অনেক কম খরচে করা যেতে পারে এমন বহু কাজ, যা মানুষ না, মেশিন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য মানুষ আজ অনেকটাই উপকৃত এবং লাভবান। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এমন এক আবিষ্কারের কথা সামনে আসছে তা সত্যিই উপকারী বলে মনে করছেন গবেষক মহল।

যে কোনো বাড়ি বা বহুতল বিল্ডিং তৈরি করতে প্রচুর ইটের প্রয়োজন হওয়াটা স্বাভাবিক। আর এই “ইট” তৈরির জন্য লেগে যায় বহু সময় এবং কঠোর শ্রম।
এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেছেন এক “ব্যাক্তি”। হরিয়ানার বাওয়ানায় বসবাসকারী “সতীশ চিকারা”, যিনি এস.এন.পি.সি নামে একটি স্টার্টআপ কোম্পানির মালিক। সতীশ এমন একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন আবিষ্কার করেছেন, যেটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১২০০০ ইট তৈরি করতে পারে।

২০০৭ সালে অংশীদারিত্বে ইট ভাটার কাজ শুরু করেন সতীশ। দীর্ঘদিন ইট তৈরি কম হওয়ায় এবং বৃষ্টিতে অনেক ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো প্রতিনিয়ত। ইট প্রস্তুত করতে সময় এবং অর্থ দুই বেশি লাগে, তাই তিনি ইট তৈরির মেশিন বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই কাজের জন্য, সতীশ তার ভাইয়ের সাহায্য নিয়েছিলেন।

তারপরে উভয় ভাই একসাথে ৭ বছর কঠোর পরিশ্রম করার পর স্বয়ংক্রিয় ইট তৈরির মেশিন আবিষ্কারে সফল হন। এই মেশিনের সাহায্যে ভাটায় ইট তৈরির কাজ যেমন সহজ হবে, তেমনি শ্রমিকদের শ্রমও বাঁচবে। এটি ভারতের প্রথম স্বয়ংক্রিয় ইট তৈরির যন্ত্র, যা তার সক্ষমতার কারণে আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে।

সাধারণত, একটি ভাটায় কর্মরত একজন শ্রমিক ১ ঘন্টায় সর্বাধিক ৮০ – ৮৫ টি ইট তৈরি করতে পারে, যেখানে স্বয়ংক্রিয় ইট তৈরির মেশিন ১ ঘন্টায় ১২ হাজার ইট তৈরি করতে সক্ষম। এমতাবস্থায় এই মেশিন ব্যবহারে দ্রুত ইট তৈরী সম্পন্ন করা যায়, যার ফলে নির্মাণ কাজে কোনো বাধা থাকবে না এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।