বলিউডের ৬ টি এমন ব্যয়বহুল ডিভোর্স যা বলি অভিনেতাদের উপর পড়েছিল ভারী, রয়েছে ঋত্বিক সহ আরো অনেকেই

বলিউড তারকাদের লাইফস্টাইল এবং বিলাসবহুল জীবন যাপানের কথা নিশ্চয়ই অনেক শুনেছেন। কিন্তু জানেন কি ফিল্ম তারকারা যেভাবে তাদের বিয়েকে জমকালো করতে জলের মতো টাকা খরচ করেন, একইভাবে এই তারকাদের ডিভোর্সও অনেক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। আলোচ্য বিষয় রয়েছে বলিউডের সবথেকে দামি কিছু ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে।

আলোচনার শুরুতেই রয়েছেন, ৯০ এর দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী “কারিশমা কাপুর”। বিয়ের ১১ বছর পর ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন করিশমা। এবং ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০০৩ সালে। জানা যায়, স্বামী সঞ্জয়ের বাড়ি হস্তান্তরিত করতে হয়েছিল কারিশমার নামে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঞ্জয় শিশুদের খরচের জন্য ১৪ কোটি টাকার একটি বন্ড কিনেছেন, যার কারণে তিনি প্রতি মাসে শিশুদের খরচের জন্য ১০ লাখ টাকা দেন। এই টাকা তাদের দুই সন্তানের ভরণ-পোষণে ব্যয় হয়।

“ফারহান এবং অধুনার” বিবাহবিচ্ছেদের খবরে অনেকেই হতবাক হয়েছিলেন, কারণ এই দম্পতি বিয়ের ১৬ বছর পরে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর আগে ফারহান বা অধুনা কেউই আলোচনায় ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে ডিভোর্স পাওয়া অনেকের জন্যই হতবাক। বিবাহবিচ্ছেদের পরে, অধুনা মুম্বাইতে ১০০০ বর্গফুটের বাংলো তার কাছে রাখার দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া মেয়ের দেখাশোনার জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় ফারহানকে।

বলিউড অভিনেতা হৃতিক এবং সুজানের বিবাহ বিচ্ছেদ শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০০০ সালে দুজনে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু ২০১৩ সালে সম্পর্কে ফাটল ধরে। তারপরে তাদের দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। কথিত আছে যে সুজান খান ৪০০ কোটি টাকা ভরণপোষণ দাবি করেছিলেন, যার মধ্যে ৩৮০ কোটি টাকা তাকে দেওয়া হয়েছিল।

অভিনেতা “সাইফ আলি খান” ১৩ বছরের বড় অমৃতা সিংকে ১৯৯১ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের ১৩ বছর পর, এই দুই দম্পত্তি ২০০৪ সালে আলাদা হন। একটি সাক্ষাত্কারে, সাইফ বলেছিলেন যে বিবাহ বিচ্ছেদের সময় ৫ কোটি টাকা ভরণপোষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে তিনি ২.৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি অমৃতাকে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা দিতে হয় শিশুদের খরচের জন্য।

এই তালিকায় রয়েছে “সঞ্জয় দত্ত” ও “রিয়া পিল্লাইয়ের” সম্পর্কও। রিয়া পিল্লাই ছিলেন সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। শোনা যেত যে, সঞ্জয় তাকে খুব ভালোবাসতেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক দিন পর্যন্ত রিয়ার সমস্ত খরচ বহন করেছেন সঞ্জয়। তারা ১৯৯৮ সালে বিবাহ করেছিলেন এবং ২০০৫ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। তিনি রিয়াকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু যদি রিপোর্ট বিশ্বাস করা হয়, সঞ্জয় প্রায় ৪ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়াও একটি দামি গাড়ি দিয়েছিলেন তাকে।

অভিনেতা “আমির খান”, যাকে মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলা হত, তিনি তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে এবং ২০০২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই বিবাহ বিচ্ছেদ আমিরের জন্য খুব ভারী পরেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমির ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন রীনাকে।